স্পষ্ট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িল সন্দেহে ক্রিকেটের এনামুল হক বিজয়কে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, এমন একটি প্রতিবেদন বের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ক্রিকেটার বিজয়ের ওপর বিদেশ ভ্রমণসহ কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। 

বিসিবি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে যে, ক্রিকেটার বিজয়ের ওপর এন্টি করাপশন ইউনিট (আকসু) বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা অরোপ করেছে। বিসিবি এনামুলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো কিছুর বিষয়ে এখনো অবগত নয়। 

তবে বিপিএলে স্পট ফিক্সিং নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে অনেক অভিযোগ এসেছে। আইসিসির নিয়ম অনুসরণ করে বিসিবি ও আকসু এ বিষয়ে তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সঙ্গে হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিসিবি বদ্ধ পরিকর, সততা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেবে বোর্ড।

স্পষ্ট ফিক্সিংয়ে সম্পৃক্ত নন অথচ তার নাম প্রকাশ করে মর্যাদাহানি করা হচ্ছে এমন দাবি করে অন্তত ২ জন ক্রিকেটার কোয়াবের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। বিষয়টি উল্লেখ করে সমকালকে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কয়েকজন ক্রিকেটার যোগাযোগ করে বলেছেন তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। কেউ এসবে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও তাদের নাম বাইরে আসলে সেটি দুঃখজনক। এ ধরনের খবর ওই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার এবং মর্যাদার জন্যও ক্ষতিকর।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশি ৯ নর্তকীকে গ্রেপ্তারের দাবি ভারতের

ভারতের মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দি থেকে ৯ বাংলাদেশি নর্তকীকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে ভারতীয় পুলিশ। তারা কোনগাঁও নামের একটি গ্রামের স্থানীয় ড্যান্স বারে নাচতেন বলে দাবি তাদের।

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন খবর পেয়ে ওই গ্রামের ঠাকুরপাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় তারা। ওই সময় ৯ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সেখানে পাঁচ বছর ধরে আছেন বলে দাবি তাদের। যে বাড়ি থেকে এই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই বাড়ির মালিককেও নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে পুলিশ।

ভিওয়ান্দির অপরাধ বিভাগের সহকারী পুলিশ পরিদর্শক শ্রী রাজ মালি জানিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নারীরা হলেন শিমা বেগম সিরাজ, রেখা, রুপা, অঞ্জনী, শারদা বংশী সাহু, মমতা, পায়েল রাজু, পিংকি এবং কাজল। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যেগুলোর আনুমানিক দাম ৭০ হাজার রুপি। এছাড়া তাদের পাসপোর্ট ও ব্যক্তিগত নথি জব্দ করারও দাবি করেছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন এবং তারা ভিওয়ান্দিতে গত পাঁচ বছর ধরে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় মামলা করা হয়েছে।

কোনগাঁও থানার জ্যেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক নেতারাম মাস্কি বলেছেন, “গত দুই মাসে, বেশ কয়েকজন অবৈধ বাংলাদেশির তথ্য সামনে আসে। এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলা করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ২৪ বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন।

ঢাকা/সুচরিতা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ