নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তৃণমূল বিএনপি নেতা লিটন ওরফে কসাই লিটন ও তার দুই ছেলে আসাদুজ্জামান রাসেল  ও আমির হামজা রানা মিয়ার জিম্মীদশা থেকে বাচঁতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। শনিবার দুপুরে উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বাচলের সমু মার্কেট রূপগঞ্জ সাংবাদিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, কসাই লিটনের বোন রোকেয়া ইয়াছমিন ও মাহমুদা খাতুন, স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ খন্দকার ও সাহেলা বেগম প্রমূখ। 


এসময় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, রফিকুল ইসলাম লিটন তৃণমূল বিএনপির সক্রীয় নেতা ছিলেন। লিটন ও তার দুই ছেলে আসাদুজ্জামান রাসেল ও আমির হামজা মিলে প্লট জালিয়াতি ও ভূয়া কাগজ বানিয়ে মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে শতশত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। কসাই লিটন বাড়িয়াছনি এলাকার সালেহা বেগমের ৫ কাঠা, সিরাজ খন্দকারের ৮ শতাংশ জমি, রোকেয়া বেগমের ৩ কাঠার প্লটসহ জাল কাগজে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। তাদের কাছে জিম্মী বাড়িয়াছনি এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। কসাই লিটন ও তার দুই ছেলের জিম্মীদশাথেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগীরা রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগীতা চায়। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ ল টন ও

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনএসিডব্লিউসির তত্ত্বাবধানে ‘ইন্ডাস্ট্রি সেফটি ট্রেনিং’ অনুষ্ঠিত

শিল্পপ্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত ‘ইন্ডাস্ট্রি সেফটি ট্রেনিং প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ-২০২৫’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে দেশের স্বনামধন্য রাসায়নিক শিল্পকারখানা ও রাসায়নিক দ্রব্য আমদানিকারকসহ মোট ২২ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি) ও আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন ফর পিওর অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি (আইইউপিএসি) যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে হন্ডুরাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্রেসিয়া রোমিরো এবং যুক্তরাজ্যের মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেমদা গ্যারলিক ভার্চ্যুয়ালি ক্লাস পরিচালনা করেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. ইকবাল রউফ মামুন ও বিএনএসিডব্লিউসির কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বিএনএসিডব্লিউসির চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপদ ব্যবহার এবং এ–সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

বিএনএসিডব্লিউসির চেয়ারম্যান দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষক এবং প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজে লাগানোর পাশাপাশি সহকর্মীদের মধ্যে অর্জিত জ্ঞান বিতরণ করে দেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। রসায়নকে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করতে হবে।

পরে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন বিএনএসিডব্লিউসির চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ