খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত নারী কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেত্রী জেসমিন পারভীন জলিকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে নগরীর মোল্লাপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করে গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) বিধান চন্দ্র রায় বলেন, জলি মারামারি ও গোলাগুলি মামলার আসামি। তাকে রিমান্ডে এনে এ মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক তৈমুর ইসলাম জানান, জলি খুলনা সদর থানায় গত ২১ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় আসামি। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমানোর জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডারদের সহযোগিতায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ২ 

সাভারে ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৪ জনের মরদেহ উত্তোলন

গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।  
 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুলিশের কাছে দিবেন : সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ছাত্রলীগের হাত থেকে ছাত্র- জনতা, কৃষক, শ্রমিকের রক্তের দাগ এখনও মুছে যায়নি।

সেই রক্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে আজকে আমি মহানগর বিএনপি'র পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিচ্ছি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যে যেখানে অবস্থান করে বের করে আমাদেরকে খবর দিবেন তাদেরকে ধরে মারবেন না আইনের হাতে তুলে দিবেন।


আমাদের সকল ইউনিট নেতাকর্মীদেরকে আমি বলতে চাই আপনারা সজাগ হন। ওই যুবলীগ ছাত্রলীগের যারা নিষিদ্ধ তাদের যে কর্মসূচি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিবে না। আমরাও কিন্তু মেনে নিব না। নারায়ণগঞ্জে আমরা যেই সহমর্মিতা দেখিয়েছিলাম সেটাকে তারা দুর্বল মনে করছে। 

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। 

শনিবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের চাষাড়া মিশনপাড়া মোড় থেকে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চাষাড়া চত্বর ঘুরে বিবি রোড় দিয়ে গ্রীনেজ ব্যাংকের মোড় হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দুই নং রেলগেট গিয়ে শেষ হয়। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধার হয়েছে। এটাকে যদি কেউ নস্যাৎ করতে চায় তাহলে বাংলাদেশে জাতীয় দল তথা মহানগর বিএনপি তা মেনে নিবে না। দেশের জনগণকে নিয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।

মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাড়ায় মহল্লায় সজাগ থাকবেন যেনো কোন ভাবেই নিষিদ্ধ সংগঠন নেতাকর্মীরা কোন কর্মসূচি পালন করতে না পারে। আর যদি কেউ এ ধরনের কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করে তারও তাদেরকে প্রতিহত করে পুলিশের কাছে দিয়ে দিবেন। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান মিঠু, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর বিএনপি আবুল হোসেন রিপন, নাজমুল হক, আল আরিফ, মাহবুবুর রহমান, কাজী নাঈম, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, আলী ইমরান শামীম, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো.রাসেলসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ