ভাইরাল ভিডিওটি সারজিস আলমের বিয়ের নয়: রিউমর স্ক্যানার
Published: 1st, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের বিয়ের ভিডিও দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি তার বিয়ের ভিডিও নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
শনিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদন বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সারজিস আলমের বিয়ের সংবাদ প্রকাশ করছে। কয়েকটি গণমাধ্যম সূত্রে তার স্ত্রীর নাম রাইতা বলে জানা গেছে। তবে তার ছবি প্রকাশ করা হয়নি৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে সারজিসের বিয়ের ভিডিও দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, সারজিস আলমের বিয়ের ভিডিও দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি তার বিয়ের ভিডিও নয়। তাসমিয়া তাবাসসুম মম ও রাগিব নূর নামের এক দম্পতির বিয়ের ভিডিও ওই দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে৷
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটির কি-ফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ‘মমটম’ নামক ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট প্রকাশিত ‘সারজিস আলম’স ওয়েডিং: ক্লিয়ারিং দ্য মিস কনসেপশন’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও বার্তা খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ভিডিওটিতে মম নামের ওই নারী দাবি করেন, আলোচিত ভিডিওটিতে কনে সাজে তিনি ও ভিডিওটি তার বিয়েতে ধারণ করা হলেও ভিডিওতে থাকা ছেলেটি সারজিস আলম নয়।
পরবর্তী সময়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায় এবং তার পুরো নামের (তাসনিমা তাবাসসুম মম) সূত্র ধরে তার ফেসবুক আইডির সন্ধান পাওয়া যায়। ওই ফেসবুক আইডি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া ২০২২ সালের ২৯ আগস্টের একটি পোস্টে দেখা যায়, তিনি রাগিব নূর নামক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সংবাদ জানান এবং তাদের বিয়ের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন।
ওই ছবিগুলোতে মম এবং তার স্বামী রাগিবের পরিহিত পোশাকের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওতে বর ও কনের পরিহিত পোশাকের হুবহু মিল রয়েছে।
এছাড়া ওই ছবিগুলোতে লেখা ‘চেকমেট’ লোগোর সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে চেকমেট ইভেন্ট নামক পেজের ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারির একটি পোস্টে মম ও রাগিবের বিয়ের বেশ কিছু ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সারজিস আলমের বিয়ের সংবাদ প্রকাশ করছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাতারকে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধান
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মূহাম্মদ ইউনূস কাতারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি কাতারি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উৎসর্গ করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যেখানে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির কারখানাও স্থাপন করা যেতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড. সাওদ বিন আবদুলরহমান আল থানির আমন্ত্রণে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ও প্রীতিভোজে অংশ নেন তিনি। সেখানে তিনি কাতারি শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সহজতর করার এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদানের প্রস্তুতির কথা জানান।
তিনি কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীতে ৭২৫ জন বাংলাদেশি সৈন্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যতে এ নিয়োগ আরো সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
পরে লুসাইল সিটিতে কাতারের বাণিজ্যমন্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন আল থানির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের পরিবহন, ব্যাংকিং এবং আতিথেয়তা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি অর্থনৈতিক ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।”
বিকেলে উপ-প্রধানমন্ত্রী হামাদ বিন আব্দুলআজিজ আল-কাওয়ারীর আমন্ত্রণে চা-চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানে মানবসম্পদ সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
সকালে তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দ্বিগুণ প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
বৈঠকে কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনত হামাদ আল থানি বক্তব্য দেন এবং শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খালিলুর রহমান, বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ