রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া এলাকার নব কিশলয় স্কুল এন্ড কলেজের ৫০ বছর পূর্তিতে শুক্রবার রাতে সুর্বণ জয়ন্তি উৎসব শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে পালন করা হয়েছে।

স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও রূপগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.

সাকিব আল রাব্বি, এনজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান খান ও মিসেস নুরুজ্জামান। 

নব কিশলয় স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা ও ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে শত শত শিক্ষার্থী উপস্থিত হন। শুক্রবার দিনভর বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা নানান কর্মসূচির মাধ্যমে আনন্দ উল্লাস করেন।

পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাকিব আল রাব্বি, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, শিল্পপতি ও এনজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান খান তার সহধর্মিনীকে নিয়ে মঞ্চে উপস্থিত হন। ঘন্টা ব্যাপী আলোচনা শেষে রাতভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। 

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি শিক্ষণীয় উদাহরণ দেন। সেই সাথে স্কুল এন্ড কলেজের যত ধরণের সমস্যা আছে সবই অল্প সময়ের মধ্যে সমাধানের আশ^াস দেন।

তিনি আরো বলেন, চনপাড়া এক সময় মাদক আখড়া ছিল বলে শুনেছি। কিন্তু ৫ আগষ্টের পর আর এখানে মাদক নেই। মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে। এখানে মাদকের কোনো সন্ধান পেলে আমাকে জানাবেন। সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তাছাড়া চনপাড়ার বিদ্যাপীঠ নব কিশলয় স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি (ইউএনও সাইফুল ইসলাম)। আপনাদের সকল সমস্যায় পাশে আছি এবং থাকবো বলেও কথা দিচ্ছি। 

সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। স্কুল জীবনই নিজের ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। জীবনে বড় কিছু হতে গেলে ছোট থেকেই গড়ে তুলতে হয়। বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও সার্বিক উন্নয়ন দেখে তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ উপজ ল উপস থ ত কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ টাকায় মিলছে বোমা পিঠা

রকমারি পিঠার বাহারি সাজে টেবিল যেন রঙিন এক উৎসবের আঙিনা। সুস্বাদু পিঠার মোহময় ঘ্রাণে মুখরিত চারপাশ। আর ভোজন রসিকদের কৌতূহলী দৃষ্টি প্রতিটি স্তূপে।

তবে সবার নজর কেড়েছে কিছু ব্যতিক্রমী নামের পিঠায়। এর মধ্যে রয়েছে- বোমা, ছেলেদের মন, হাসু আপার কুমড়ানি, হাইভোল্টেজ পায়েশ, আখেরি পাস্তা অন্যতম। নামের ভিন্নতা যেমন আকর্ষণ জাগাচ্ছে, তেমনি স্বাদের রহস্য উন্মোচনেও আগ্রহ বাড়িয়ে তুলছে।

এসব দেখা মিলেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) পিঠা উৎসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবকে ঘিরে পিঠার রাজত্ব দখল করতে দুর্দান্ত এক মধুর লড়াইয়ে নেমেছে। নিজেদের হাতের গুণে, মনের জোরে তারা সাজিয়েছে এক মহারণ; পিঠার মহাযজ্ঞ।

বাঙালিয়ানার জেদ আর ঐতিহ্যের ধুলো ঝেড়ে তারা তুলে এনেছে ২ শতাধিক পিঠার বাহার। ২৫টি স্টল জুড়ে তাদের এ দাপুটে আয়োজন যে কাউকে তাক লাগিয়ে দেবে। বাহারি আকার, রঙ, স্বাদ আর নামের নতুনত্বে পিঠা উৎসব হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত।

এছাড়া পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, মাংস পুলি, দুধ পুলি, মাংস-ঝাল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা পিঠা, জামাই পিঠা, মিষ্টি কুমড়া পিঠা, তক্তি পিঠা, কদম ফুল, গোলাপ পিঠা, ডাবের পুডিং, অরেঞ্জ জেলিসহ পরিচিত সব পিঠা তো আছেই। এদের একেকটির স্বাদ একেক রকম। তবে মেলায় আগতদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে বোমা পিঠা ২০ টাকা, হাসু আপার কুমড়ানি ও ছেলেদের মন।

সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ‘সামাজিক পিঠাঘর’ স্টলে সাজানো ‘বোমা’ পিঠা দেখতে ভীড় করছেন উৎসুক দর্শকরা।

অন্যদিকে, ভেটেরিনারি অনুষদের স্টলে শিক্ষার্থীরা সাম্প্রতিক সময়ের কলকাতার সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের জনপ্রিয় ডায়ালগকে অনুসরণ করে ঝুলিয়ে দিয়েছে এক অভিনব ফেস্টুন— ‘থাকবে না, থাকবে না! একটি পিঠাও থাকবে না!’ উৎসবে আসা পিঠাপ্রেমীদের চোখে পড়তেই এটি হয়ে উঠেছে আলোচনার বিষয়, যেন মুহূর্তেই সব পিঠা উধাও হয়ে যাবে!

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিনভর উৎসবের আমেজে মুখর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। বাহারি পিঠার প্রদর্শনীতে যেন মিশে গেছে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের স্বাদ। গ্রামীণ খেলাধুলার উচ্ছ্বাসে ফিরেছে শৈশবের স্মৃতি। অপরদিকে, ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে রম্য বিতর্ক যেন বুদ্ধির খেলা জমিয়ে তুলেছে প্রাণবন্ত এক পরিবেশ।

উৎসব উদ্বোধনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, “আমাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতিবছর ন্যায় এবারও শিক্ষার্থীরা পিঠা উৎসব আয়োজন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস একটি পবিত্র জায়গা। আশাকরি আমরা সবাই মিলে সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও পরিবেশ মোকাবিলা করে সফলভাবে অনুষ্ঠানটি শেষ করতে পারব।”

উৎসবের রঙ আরও গাঢ় করেছে রাফেল ড্রয়ের রোমাঞ্চ, যেখানে প্রত্যেকেই অপেক্ষায় আকর্ষণীয় পুরস্কারের। এরই মাঝে নাচ ও লোকগানের সুরে মেতে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও মিউজিক সোসাইটি, যেন সময় ফিরে গেছে হারানো বাংলার গ্রাম্য উৎসবে।

এছাড়া স্বরূপ ও হাইওয়ে ব্যান্ডের প্রাণবন্ত পরিবেশনা যেন রাতের আকাশে এক উচ্ছ্বাসের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে; ছড়িয়ে দিয়েছে সুর আর উন্মাদনার ঝংকার।

উৎসবের আয়োজক কমিটির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান ড. আলী আজম খান বলেন, “আবহমান বাংলায় পিঠা উৎসব চমৎকার এক নিদর্শন। আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশজ সংস্কৃতিকে অন্তরে লালন-পালন করে। পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে তারা দেশজ সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখছে, এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। প্রতিবারে দেশজ সংস্কৃতির এ ধারাকে অব্যাহত রেখে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পিঠা উৎসব আয়োজনের সুযোগ করে দেন। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বোমান ইরানির ‘দ্য মেহতা বয়েজ’
  • কাঁকড়াসদৃশ মঞ্চে বর্ণিল পরিবেশনা
  • হিলিতে গ্রামীণ পিঠা উৎসব
  • রাতভর গানের আয়োজন, গাইবেন করিম শাহাবুদ্দিন, অসিত কুমার ও ফেরদৌস আরা
  • রাতভর গানের আয়োজন
  • তারুণ্যের উৎসবে পিঠাপুলির স্বাদ
  • ঢাকা দক্ষিণে তারুণ্যের উৎসব 
  • গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ টাকায় মিলছে বোমা পিঠা
  • নারায়ণগঞ্জ সদরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ পালিত