মাদারীপুর সদর উপজেলায় বালু ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে তিনজন আহত হয়েছেন। এসময় সেখানে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার পূর্বরাস্তি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র বালু উত্তোলন করছে। এই চক্রের অন্যতম সদস্য হলেন মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠু হাওলাদার এবং হাকিম বেপারী। বালু
উত্তোলনের অর্থের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এই দুই জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।  এরই জেরে শুক্রবার রাতে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হন।

আরো পড়ুন:

নাচোলে খাসজমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

সাতক্ষীরায় বিএনপির দু’ গ্রুপে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

আহতরা হলেন- সদর উপজেলার পূর্বরাস্তি এলাকার নিশাত হাওলাদার (২০), লক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার সালমান হোসেন (২০) ও মুন্না ব্যাপারী (২৫)। তাদের মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয় জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠু হাওলাদার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে এলাকাছাড়া। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। হাকিম বেপারী এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই লোকজন দিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।” 

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হাকিম বেপারীর ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বাড়িতেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, “বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আবারো সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত সদর উপজ ল স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নতুন করে ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা করছে : রাজিব 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নতুন করে আবারো ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা করছে। আমরা দীর্ঘ সতেরোটি বছর বাংলাদেশকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য এবং সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করতে  আন্দোলন করে অনেক রক্তের বিনিময়ে আজকে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ পেয়েছি। 

এই বাংলাদেশকে নস্যাৎ করার জন্য খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশে নারায়ণগঞ্জকে অস্থিশীল করার পাঁয়তারা করছেন তাদেরকে হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই। দয়া করে আপনারা এ ধরনের কোন কর্মসূচি পালন করবেন না। যদি আপনারা কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড করেন তাহলে তার দায় দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের কি নিতে হবে। 

আমরা নারায়ণগঞ্জকে সেই আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই না। নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাসীদের জনপদ হিসেবে সারা বাংলাদেশে পরিচিত হয়েছিল তাকে আমরা সুক্ষেতি অর্জনের মাধ্যমে শেষ করে দিতে চাই। আর সেক্ষেত্রে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করা হবে। 

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের চাষাড়া মিশনপাড়া মোড় থেকে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চাষাড়া চত্বর ঘুরে বিবি রোড় দিয়ে গ্ৰীনেজ ব্যাংকের মোড় হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দুই নং রেলগেট গিয়ে শেষ হয়। 

তিনি বলেন, আমরা সহমর্মিতা রাজনীতিতে যে বিশ্বাসী আমাদের নেতা কিন্তু সে কথা বলেছে। তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন মানুষকে ভালোবেসে মানুষের বিপদ আপদে মানুষের কাছে পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সেটা যদি জীবনে ঝুঁকি নিয়েও হতে হয় তাহলেও আমরা মানুষের পাশে আছি।

আর ধারাবাহিকতা আজকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে শান্ত নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তার জন্যই কিন্তু আজকে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। আগামীতে যারাই নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার চেষ্টা করবে তারা কেউ সফল হবে না।

বরঞ্চ তারা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনবে। তাই আমরা বলছি ভালো হয়ে যান। ভালো হয়ে গেলে হয়তো বা এদেশের মানুষ আপনাদেরকে কোন না কোন ভাবে ক্ষমা করে দিবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ