ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন ঢাকা ক্যাপিটালস টিমের সদস্যরা
Published: 1st, February 2025 GMT
গাজীপুরের চন্দ্রায় ইলেকট্রনিক্স খাতে দেশের সেরা ব্র্র্যান্ড ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ফ্রাঞ্জাইজি ঢাকা ক্যাপিটালসের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাদের মধ্যে ছিলেন— ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা, ব্যাটার লিটন দাস, সাব্বির রহমান ও তানজিদ তামিম, পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিক ফাহাদ ও ম্যানেজার সাইফ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি, ২০২৫) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন কর্পোরেট অফিস থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে আসেন ঢাকা ক্যাপিটালস দলের ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তারা।
হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছালে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, ওয়ালটন ক্যাবলসের চিফ বিজনেস অফিসার রাজু আহমেদ, ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন, ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
অতিথিরা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক মানের ক্যাবলস ও ফ্রিজের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টস পরিদর্শন করে অত্যন্ত মুগ্ধ হন।
এরপর অতিথিরা ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেন। সবমিলিয়ে সারা দিন আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করে ঢাকা ক্যাপিটালস দলের প্রতিনিধিদল।
ঢাকা/সাহেল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য প ট লস
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, পরিস্থিতির সুযোগে লুটপাটও ঘটতে পারে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেন ও কাউছার সরকার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৮ জন আহত হন।
আহতদের কয়েকজনকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকে ঢাকা পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রমজান মাসে পূর্ববিরোধের জেরে কাউছার সরকার গ্রুপের কাউছার হামলার শিকার হন। তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে শাজাহান সরকার (কাউছারের বাবা) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আটকরা বুধবার জামিনে মুক্তি পান। দুই দিন পর, শুক্রবার দুপুরে জাকির গ্রুপের লোকজন বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
হরিপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও বড়কান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দুজনই বড়কান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী। সেই প্রতিযোগিতা থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। গত এক মাস আগে জাকিরের লোকজন কাউছারকে হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলে, কুপিয়ে জখম করে। এই মামলায় জাকিরসহ তার লোকজন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের আটক করে জেলে প্রেরণ করলে ১১ দিন পর জামিনে এসে বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর কাউসারের লোকজন ও সেখানে গেলে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুপক্ষের ৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়।
এবিষয়ে জাকির হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি সমকালকে বলেন, আমরা ১১ দিন পর জামিন পেয়ে গতকাল রাতে বাড়িতে এসেছি। আজ সকালে শুনছি আমার চাচা ডালিমকে মারছে এরপর আমরা কয়েকজন ওইখানে খাল পার হয়ে যাই। সেখানে আমাদের লোকজনকে মারধর করে। আমার ৫ জন আহত হই। এদের মধ্যে একজন গুরুতর অবস্থায় আছেন।
তবে বাদীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন জাকির হোসেন।
মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল সমকালকে জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর সাথে সাথে পুলিশ গেছে। পুরোনো বিরোধের জেরেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। ৩-৪ জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এবিষয়ে লিখিতি অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।