ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার পদের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে শহরের তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো.
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে শহরের চারটি কেন্দ্রে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে। পাঁচ হাজার ২৫৫ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের সঙ্গে ছবির মিল না থাকায় ফেনী সরকারি কলেজ ও সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে থেকে ৭ জন, সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৭ জন ও শাহীন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
সিলেটে ১৮ লাখ টাকার ভারতীয় কমলা জব্দ
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, “শহরের চারটি কেন্দ্রে ৫ হাজার ২৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা ২০ জনকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশে সোপর্দ করেছেন।”
ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, “আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’