গোপালগঞ্জে দেয়ালে দেয়ালে ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ পোস্টার
Published: 1st, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত পোস্টার টানানো হয়েছে। করা হয়েছে দেয়াল লিখনও।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা ও কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের বিভিন্ন দেয়ালে এ পোস্টার ও দেয়াল লিখন দেখা যায়। তবে পুলিশ বলছে, বিষযটি তাদের জানা নেই।
বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে উপরে লেখা, ‘আগেই ভালো ছিলাম’। মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। এরপরে লেখা, ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’। পোস্টারের একেবারে নিচের অংশে লেখা, ‘বঙ্গবন্ধু রিজার্ভ ফোর্স, গোপালগঞ্জ জেলা’। ধারণা করা হচ্ছে, এ সংগঠন থেকে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ পোস্টার ও দেয়াল লিখন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বাবার হত্যাকারীদের শেখ হাসিনা রক্ষা করেছেন: রেজা কিবরিয়া
ন্যায়বিচারের স্বার্থে ভারত হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে, আশা ক্যাডম্যানের
বিশেষ করে, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারি দেয়াল, পৌরসভার দেয়াল, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন অফিসের দেয়াল ছেয়ে গেছে এ পোস্টারে। এমন পোস্টারে জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পথচারীসহ উৎসুক মানুষ এ পোস্টার দেখছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা বা গোপালগঞ্জে বিগত দিনে ‘বঙ্গবন্ধু রিজার্ভ ফোর্স’ নামে কোনো সংগঠন চোখে পড়েনি। নতুন এ সংগঠন সম্পর্কে জানার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/বাদল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ প লগঞ জ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ’র তৃতীয় নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ এর তৃতীয় নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে শুক্রবার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনা করেন সম্মেলনের প্রধান অতিথি কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের সংগঠক কবি রঘু অভিজিৎ রায়, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি প্রদীপ সরকার, সমমনা’র সভাপতি সালাউদ্দিন আহম্মেদ, প্রগতি লেখক সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য দুলাল সাহা, জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, অর্থ সম্পাদক সুজয় রায় চৌধুরী বিকু, জেলা কমিটির সদস্য দীপঙ্কর দে, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি হাবিব সিদ্দিকী, সদস্য রাশিদা বেগম প্রমূখ।
আলোচকগণ বলেন, নানান দিক থেকে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ আসছে। নারী স্বাধীনতা বিরোধী এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টিকারি একটা সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি চালু করার চেষ্টা চলছে। জাতিগত ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে।
উগ্র ধর্মান্ধতা, জাত-পাত, আঞ্চলিকতা, বর্ণবাদ ও পাহাড়ী-বাঙালির বিভেদ তৈরি করে চিরস্থায়ী এক হিংসাত্মক পরিবেশ গড়ে তোলা হচ্ছে। লালন আখড়ায় হামলা, মাজারে হামলা, ভিন্ন ধর্ম ও আদিবাসীদের বাড়িঘরে হামলা তার জলন্ত উদাহরণ।
আজ অনেকেই ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ৬ দফা, ৬৮-৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন। বিজ্ঞান চেতনা বিরোধী ধর্মভিত্তিক মধ্যযুগীয় পুরোনো ধারণার স্বৈরতান্ত্রিক সংস্কৃতি সমাজে চাপিয়ে দেবার আয়োজন চলছে।
আমরা এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। এ সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সকল বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি কর্মীদের ঐক্য চাই।
তৃতীয় জেলা সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয় বিকাল ৩টায়। প্রথমে প্রধান অতিথি উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর পর শোক প্রস্তাব পাঠ করেন মাকসুদা ইয়াসমিন। দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর বিষয় নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে জেলার সাংগঠনিক রিপোর্ট ও অর্থ রিপোর্ট উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস। রিপোর্টের ওপর প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন। রিপোর্ট গ্রহণের পর বিষয় নির্বাচনী কমিটির পক্ষ থেকে দুলাল সাহা প্রস্তাবিত কমিটির নাম পড়ে শোনান।
কমিটি নির্বাচন শেষে প্রধান অতিথি কবি গোলাম কিবরিয়া পিনুর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কাউন্সিল অধিবেশন শেষ হয়। আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এ পর্বে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলোচনা করেন। এরপর আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করা হয়।
তৃতীয় নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলনে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত কমিটির সভাপতি হলেন জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি শহিদুল আলম নান্নু, শ. ম. কামাল হোসেন, সুজয় রায় চৌধুরী বিকু, বিলকিস ঝর্ণা, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজলক্ষ্মী, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, অর্থ সম্পাদক দীপঙ্কর দে, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদা ইয়াসমিন, প্রচার সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক তিথি সুবর্ণা, সদস্য দুলাল সাহা, দীন ইসলাম দীপু, সুনীল কৃষ্ণ মাঝি, হাবিব সিদ্দিকী, ফাল্গুনী দাস।