রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দনিয়া কলেজের ছাত্র মিনহাজ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পূর্ব শক্রতার জেরে এ ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানান, শুক্রবার  (৩১ জানুয়ারি) পটুয়াখালী সদর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মিনহাজ হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-ওয়ারী বিভাগের দল।

তারা হলো— মাহফুজ ওরফে মো.

মাহফুজ সরকার, মো. জাহিদুল ভুঁইয়া শাওন, মো. সাব্বির সরকার, মো. আশিক ও মো. সোহান মিয়া।

ডিবি-ওয়ারী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিহত মিনহাজুল যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনিরআখড়ার দনিয়া কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২৬ জানুয়ারি দনিয়া কলেজে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিনহাজুলের সাথে মাহফুজ ওরফে কিং মাহফুজসহ অন্য আসামিদের তর্কবিতর্ক হয়। পরে ২৮ জানুয়ারি বিকেলে মিনহাজ ও তার বন্ধু আহাদ দনিয়া কলেজের সামনে গেলে সেখানে মাহফুজসহ অন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সুইচ গিয়ার, চাকু, চাপাতি, রাম দাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মিনহাজুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত মিনহাজুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

এ ঘটনায় নিহত মিনহাজুলের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে ‘কিং মাহফুজ’সহ ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। গ্রেপ্তাররা মিনহাজকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। 

ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলাডেলফিয়ায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্তে নিহত ৬

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্তের ঘটনায় ছয় আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। শনিবার ফিলাডেলফিয়ার মেয়র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করার পর লিয়ারজেট ৫৫ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানবন্দর থেকে চার মাইলেরও কম দূরে এটি বিধ্বস্ত হয়।

এফএএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে ফ্লাইটটি মিসৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্র্যানসন জাতীয় বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। ফিলাডেলফিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ অংশে অবস্থিত তিন তলা বিশিষ্ট শপিং সেন্টার রুজভেল্ট মলের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। যে এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি ছাদযুক্ত আবাসন এবং দোকানপাটে পরিপূর্ণ।

ফিলাডেলফিয়ার মেয়র চেরেল পার্কারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে থাকা ছয়জনের সবাই নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক শিশু ও তার মা, একজন ডাক্তার, প্যারামেডিক, পাইলট এবং কোপাইলট রয়েছেন।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ