কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নঈনুদ্দিন সেন্টুর ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলমকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের খাদেম দারোগার মোড়ের বাজারে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন জাহাঙ্গীর আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলমের অবস্থা আশংকাজনক। সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যাসহ চরের মাঠে মহিষের বাথান সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে লালচাঁদ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। আহত জাহাঙ্গীর আলম ফিলিপনগর গ্রামের সেন্টু চেয়ারম্যানের চাচাত ভাই মৃত মঈন সরকারের ছেলে।

আরো পড়ুন:

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় দুই যুবককে গুলি করে হত্যা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত সবুজের লাশ উত্তোলন 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয়রা জানান, খাদেম দারোগার মোড়ের বাজারে একটি দোকানে রাতে মহিষের বাথান মালিক জাহাঙ্গীর আলম বসে ছিলেন। এ সময় দুটি মোটর সাইকেলে করে মুখবাঁধা অবস্থায় ৫-৬ জন সন্ত্রাসী এসে জাহাঙ্গীর আলমকে অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে রাস্তার পাশে নেয়। পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে নির্বিগ্নে চলে যায়। সন্ত্রাসীদের এমন তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বাজারের লোকজন দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর বাজারের আশপাশে অবস্থান করা লোকজন জাহাঙ্গীর আলমকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ ঙ গ র আলম অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুরে সড়কে নির্মিত অবৈধ আট গেট গুঁড়িয়ে দিল ডিএনসিসি

মিরপুরের রূপনগরে সড়কে অবৈধভাবে নির্মিত আটটি গেট গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর সেকশন-২ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার বিভিন্ন রোডে অবৈধভাবে নির্মিত গেটগুলো উচ্ছেদ করা হয়।

এছাড়া ফুটপাত ও রাস্তার প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকান ও হকার উচ্ছেদ করে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। ফুটপাত দখল করে দোকান পরিচালনা করায় একটি ফার্নিচারের দোকান ও একটি খাবারের দোকান মালিককে তিন হাজার করে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এবং ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম। 

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, জনগণের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে রাস্তা ও ফুটপাতের অবৈধ যেকোনো স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ডিএনসিসির নিয়মিত কার্যক্রম। এটি চলমান আছে। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে তাদের চলাচলে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে রাস্তায় অবৈধভাবে নির্মিত গেটগুলো আমরা ভেঙে দিয়েছি। এই গেটগুলো বিনা অনুমতিতে লাগানো হয়েছে, যার ফলে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য সকল রাস্তার অবৈধ গেটগুলো অপসারণে আমাদের অভিযান চলবে।

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিরপুরে সড়কে নির্মিত অবৈধ আট গেট গুঁড়িয়ে দিল ডিএনসিসি