নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তৃণমূল বিএনপি নেতা লিটন ওরফে কসাই লিটন ও তার দুই ছেলে আসাদুজ্জামান রাসেল  ও আমির হামজা রানা মিয়ার জিম্মীদশা থেকে বাচঁতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। শনিবার দুপুরে উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বাচলের সমু মার্কেট রূপগঞ্জ সাংবাদিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, কসাই লিটনের বোন রোকেয়া ইয়াছমিন ও মাহমুদা খাতুন, স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ খন্দকার ও সাহেলা বেগম প্রমূখ। 


এসময় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, রফিকুল ইসলাম লিটন তৃণমূল বিএনপির সক্রীয় নেতা ছিলেন। লিটন ও তার দুই ছেলে আসাদুজ্জামান রাসেল ও আমির হামজা মিলে প্লট জালিয়াতি ও ভূয়া কাগজ বানিয়ে মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে শতশত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। কসাই লিটন বাড়িয়াছনি এলাকার সালেহা বেগমের ৫ কাঠা, সিরাজ খন্দকারের ৮ শতাংশ জমি, রোকেয়া বেগমের ৩ কাঠার প্লটসহ জাল কাগজে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। তাদের কাছে জিম্মী বাড়িয়াছনি এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। কসাই লিটন ও তার দুই ছেলের জিম্মীদশাথেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগীরা রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগীতা চায়। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ ল টন ও

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ