রাজশাহীকে হটিয়ে মিরাজে চড়ে প্লে অফে খুলনা
Published: 1st, February 2025 GMT
প্লে-অফে উঠতে হলে শেষ দুই ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না খুলনা টাইগার্সের সামনে। রংপুর রাইডার্সকে হারানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে চড়ে এবার ঢাকা ক্যাপিটালকে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা। তাদের জয়ে অপেক্ষায় থাকা দুর্বার রাজশাহীও বাদ পড়ে গেলো।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৩ রান করে ঢাকা। তাড়া করতে নেমে ১৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিরাজের দল।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে খুলনার পয়েন্ট হয় ১২। সমান ম্যাচে রাজশাহীরও একই পয়েন্ট ছিল। তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় প্লে-অফের দরজা খুলে যায় খুলনার জন্য।
আরো পড়ুন:
ফিক্সিংয়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি: বিজয়
ফিক্সিংয়ের সংবাদ নিয়ে মিথুন
আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে, এটা কখনো ছাড় দেই না
মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৫৫ বলে চারটি ছয় ও পাঁচটি ছয়ের মারে এই রান করে। বিপিএলে মিরাজের এটি দ্বিতীয় ফিফটি। বিপিএলে মিরাজের সর্বমোট রান ৩৪১। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন সপ্তম স্থানে। তার সঙ্গে মোহাম্মদ নাওয়াজ ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
অথচ শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাঈম শেখ ফেরেন শূন্য রানে। তিনে নেমে নাঈমের মতো শূন্য রানে ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। এরপর অ্যালেক্স রসকে নিয়ে হাল ধরেন মিরাজ। রস ২২ রানে ফিরলে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি।
রসের পর মিরাজের সঙ্গী হন বোসিস্টো। দুজনের ব্যাটে জয়ের পথে ছিল খুলনা। জয়ের কাছে গিয়ে ১৮ রানে ফেরেন বোসিস্টো। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে তানজীদ হাসানের ফিফটিতে ভর করে ১২৪ রানের লক্ষ্য দিতে পারে ঢাকা। ৭টি ছয়ের মারে ৩৭ বলে এই রান করেন তানজীদ। তিনি ছাড়া ঢাকার কোনো ব্যাটার সুবিধা করতে পারেননি। এ ছাড়া সাব্বির রহমান ২০ ও ১৩ রান করেন মেহেদী হাসান রানা। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট করে নেন উইলিয়াম বোসিস্টো ও হাসান মাহমুদ।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় শুরু হলো একুশে বইমেলা
উৎসবমুখর পরিবেশে পাবনায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পাবনা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্ত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
আরো পড়ুন:
সংস্কৃতি উপদেষ্টা
বই ছাপানোর আগে একাডেমি বা পুলিশকে পড়তে দেওয়া হাস্যকর
বইমেলা শুরু, এখনো চলছে সাজসজ্জা
অমর একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা. আহমেদ মোস্তফা নোমানর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল আউয়াল মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা জেনারেল হাসপাতারের সহকারী পরিচারক ডা. রফিকুল হাসান।
স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের আগমনে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে বইমেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও নতুন নতুন বইয়ের প্রকাশনী উৎসব থাকছে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ