অভিনেতা হিসেবে তিনি দুর্দান্ত। বলিউডে দুই যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছে। সেই বোমান ইরানি এবার দাঁড়ালেন ক্যামেরার পেছনে। প্রথমবারের মতো হাজির হলেন পরিচালক হিসেবে। নির্মাণ করেছেন ‘দ্য মেহতা বয়েজ’। আসছে ৭ ফেব্রুয়ারি আমাজন প্রাইমে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেলার। ‘দ্য মেহতা বয়েজ’ তৈরি হয়েছে এক বাবা-ছেলের জীবনের টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে। কোনো এক কারণে ছেলের কাছে থাকতে আসে বাবা। দুই দিন একত্রে থাকতে হবে তাদের। আপাতদৃষ্টিতে এটা সহজ মনে হলেও বাবা ও ছেলের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হওয়ায় সমস্যা বাড়তে থাকে। বয়স হলে সবাই যে শিশুর মতো আচরণ করে, তা বুঝতে অনেকটা দেরি হয় ছেলের। দুজনের মধ্যে থাকা মান-অভিমান, রাগ ও ভালোবাসার আবেগতাড়িত গল্প এ সিনেমায় তুলে এনেছেন পরিচালক বোমান ইরানি।
পরিচালনার পাশাপাশি বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন বোমান। আরও রয়েছেন অবিনাশ তিওয়ারি, শ্রেয়া চৌধুরী, পূজা স্বরূপ প্রমুখ। বোমানের সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন অস্কারজয়ী লেখক আলেকজান্ডার ডিনেলারিস।
ওটিটিতে মুক্তির আগে দ্য মেহতা বয়েজ সাড়া ফেলেছে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। গত সেপ্টেম্বরে ১৫তম শিকাগো সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছিল দ্য মেহতা বয়েজ। টরন্টোতে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব সাউথ এশিয়ায় এ সিনেমার জন্য বোমান ইরানি পেয়েছিলেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব গোয়া, ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বার্লিনসহ অনেক উৎসবে প্রশংসা কুড়িয়েছে দ্য মেহতা বয়েজ।
এসব পুরস্কার ও প্রশংসা মাথায় নিয়ে এবার দর্শকদের মন জয় করতে আসছে সিনেমাটি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ভাষায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডার টরেন্টোতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব
উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কানাডার টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩২। কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ উৎসবে মেতেছিলেন অন্যরকম এক মিলনমেলায়।
স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ১টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয় শপার্স ওয়ার্ল্ড এর পার্কিং লট থেকে। এসময় প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী বাঙালি পায়ে হেঁটে টায়রা এভিনিউ ধরে সমবেত হন ডেন্টনিয়া পার্ক শহীদ মিনার পাদদেশে।
টরেন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ডেন্টোনিয়া পার্কে বৈশাখের রঙ, ভালবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে। এদিন শিশু কিশোরদের হাতে মুখ ও মুখোশ নিয়ে ছিল বৈশাখী মঙ্গলশোভা যাত্রা।
আয়োজকরা জানান, নবপ্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুলে ধরাই ছিল বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মূল লক্ষ্য।