তিনটি শর্ত মেনে নিলে ঐক্যবন্ধ ইজতেমা সম্ভব বলে জানিয়েছেন শুরায়ি নেজাম তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ’র শীর্ষ মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান। 

রবিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পুলিশের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান বলেন, “যে কারণে ইজতেমা বিভক্ত হলো সে কারণটা সমাধান হলেই ঐক্যবদ্ধ হওয়া যায়। ওই কারণটার জন্য আমাদের ওলামায়ে কেরাম ও সারা বিশ্বের আলেমরা তিনটি শর্ত দিয়েছেন।”

আরো পড়ুন:

বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লির মৃত্যু 

বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর বিশ্ব ইজতেমা শুরু

শর্তগুলো হলো- মাওলানা সাদ নিজেকে এককভাবে নেতা মনে করছেন। আমরা বলেছি, এককভাবে নয়, এটি একটি সুরার মাধ্যমে চলবে। 

আরেকটি হচ্ছে উনি (মাওলানা সাদ) নিজস্বভাবে উনার দাদা পর-দাদারা ইজতেমার জন্য তাবলিগের যে নিয়ম করে গেছেন, মাশওয়ারা ছাড়াই নতুন নতুন কিছু নিয়ম সৃষ্টি করেছেন। যা বাদ দিতে হবে। 

তৃতীয় শর্তটি হচ্ছে, মাওলানা সাদ সাহেব কোরআন হাদিসের খেলাফ যেসব মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো থেকে তাকে ফিরে আসতে হবে।

প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান বলেন, “এই তিনটি জিনিস যদি মাওলানা সাদ সাহেব মেনে নেন, তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে আর কোনো বাধা থাকবে না। আমাদের সঙ্গে কারো কোনো দুশমনি বা টাকা পয়সার জন্য ভাগ হয়নি। আমরা শরিয়তের কারণে এখানে আটকে আছি।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ব ইজত ম ইজত ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা সাংবাদিকদের জানান। খবর আল-জাজিরার

স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে নজর’ রাখছেন তিনি।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই হওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ