তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার জিম্মিদের ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে গোষ্ঠীটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফরাসি-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক ওফের কালদেরন এবং ইয়ার্ডেন বিবাসকে ইসরায়েলে স্থানান্তরিত করার আগে দক্ষিণ গাজা শহর খান ইউনিসে রেড ক্রস কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ইসরায়েলি-আমেরিকান কিথ সিগেলকে কয়েক ঘন্টা পরে গাজা সিটি সমুদ্রবন্দরে আলাদাভাবে হস্তান্তর করা হয়।

বিবাস হলেন দুই কনিষ্ঠ জিম্মির বাবা। অপহরণের সময় তার সন্তান কেফির বয়স ছিল মাত্র নয় মাস। তার আরেক সন্তান এরিয়েলের বয়স ছিল চার বছর। কেফির এবং এরিয়েলের ভাগ্য সম্পর্কে, অথবা তাদের মা শিরি সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদেরকে একই সময়ে জিম্মি হিসেবে আটক করেছিল হামাস। ২০২৩ সালের শেষের দিকে হামাস জানিয়েছিল, গাজা যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, শনিবারই ইসরায়েল ১৮২ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে বলে তারা আশা করছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ