চলমান বিপিএলকে ঘিরে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান বেশ আলোচনায় ছিলেন। ঢাকা ক্যাপিটালসের মালিকানা নিয়ে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর শিরোপার স্বপ্ন দেখেছিল রাজধানীবাসী, তবে সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। প্রথম ম্যাচেই পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন শাকিব খান, আর তার দল পুরো আসরেই ছন্দ খুঁজে পায়নি।
টানা ব্যর্থতার কারণে আগেই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ১১ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টি জিতেছে তারা। আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে দলটি, আর সেই ম্যাচ দেখতে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন ঢাকার মালিক শাকিব খান।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা ক্যাপিটালস। ইনিংসের মাঝপথে স্টেডিয়ামে পৌঁছান শাকিব খান। নির্ধারিত আসনে বসে দলের শেষ ম্যাচ উপভোগ করেন তিনি।
তবে খুলনার বোলারদের দাপটে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি ঢাকা। তানজিদ হাসান তামিমের হাফসেঞ্চুরির ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১২২ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো সূচনা করে ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ও লিটন দাস। ২.
দলীয় ৫৩ রানের মাথায় হাবিবুর রহমান সোহান ফিরলে চাপ আরও বাড়ে ঢাকার ওপর। ফরমানউল্লাহ ২০ বলে ৭ রান করে বিদায় নিলে ব্যাটিং ধুঁকতে থাকে দলটি। তামিম একাই রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। ৩৭ বলে ৭ ছক্কা ও ১ চারে ৫৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।
সাব্বির রহমান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ১৭ বলে ২০ রান করে তিনিও ফিরলে ২০ ওভার শেষে ঢাকার ইনিংস থামে ১২২ রানে, ৯ উইকেট হারিয়ে। এখন খুলনা টাইগার্সের সামনে প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে সহজ লক্ষ্য মাত্র ১২৩ রান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’