বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) লিগ পর্বের শেষ দিন আজ। দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে খুলনা টাইগার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস। এই ম্যাচের ফল খুলনার প্লে-অফ ভাগ্য নির্ধারণ করবে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামবে ফরচুন বরিশাল। তবে বরিশাল ও চিটাগং ইতোমধ্যেই প্লে-অফ নিশ্চিত করায় সে ম্যাচ অনেকটাই নিয়মরক্ষার।  

এর আগে রংপুর রাইডার্সও প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে। চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে প্লে-অফে জায়গা পেতে হলে আজ ঢাকার বিপক্ষে জয় ভীষণ জরুরি খুলনার জন্য। মেহেদী হাসান মিরাজের দল সে লক্ষ্যে খেলতে নেমে সহজ লক্ষ্যই পেয়েছে।  

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে খুলনার বোলারদের দাপটে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি তারা। তানজিদ হাসান তামিমের হাফসেঞ্চুরির ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১২২ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।  

ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো সূচনা করে ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ও লিটন দাস। ২.

৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৯ রান। তবে ১০ রান করেই বিদায় নেন লিটন দাস। এরপর ঢাকার হয়ে লড়াই করেন কেবল তামিম। দলীয় ৫৩ রানের মাথায় হাবিবুর রহমান সোহান ফিরলে চাপ আরও বাড়ে ঢাকার ওপর। ফরমানউল্লাহ ২০ বলে ৭ রান করে বিদায় নিলে ব্যাটিং ধুঁকতে থাকে দলটি। তামিম একাই রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। ৩৭ বলে ৭ ছক্কা ও ১ চারে ৫৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।  

সাব্বির রহমান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ১৭ বলে ২০ রান করে তিনিও ফিরলে ২০ ওভার শেষে ঢাকার ইনিংস থামে ১২২ রানে, ৯ উইকেট হারিয়ে। এখন খুলনা টাইগার্সের সামনে প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে সহজ লক্ষ্য মাত্র ১২৩ রান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ