নোয়াখালীতে গাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
Published: 1st, February 2025 GMT
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গাছ থেকে পড়ে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামের ইউসুফ মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরমান হোসেন ছাবিদ (১৭) একই গ্রামের ইউসুফ মেম্বর বাড়ির মো. খলিল উল্লাহর ছেলে। ছাবিদ সুবর্ণচর সৈকত সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ জানায়, আরমান বাড়িতে নিজেদের একটি বাদাম গাছের ডালপালা কাটতে উঠেন। এ সময় তিনি একটি ডালে পা রাখলে ভেঙে নিচে পড়ে যান। এতে তিনি বুকে ব্যথা পেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন দ্রুত তাকে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই: মন্ত্রণালয়
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করে কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত রয়েছে। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে এই কমিটি তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই কলেজগুলোর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ও মানোন্নয়নই বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য এবং এ ক্ষেত্রে করণীয় সব বিকল্পই সরকারের বিবেচনায় থাকবে। এ অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। সেজন্য আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হলো। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।
সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকার সবসময় সচেতন ও সহানুভূতিশীল রয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।