জামিনের ভুয়া নথিতে ৪ আসামি মুক্ত, জবানবন্দি দিলেন অভিযুক্ত
Published: 1st, February 2025 GMT
হবিগঞ্জে জামিনের ভুয়া নথি দেখিয়ে কারাগার থেকে ৪ আসামি বের করে নেওয়ার অভিযোগে আটক হোসাইন মো. আরিফ (২৫) নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে শুক্রবার এ ঘটনায় আমলি আদালত-৬ এর জিআরও এএসআই মো. মীর কাশেম বাদি হয়ে আরিফকে প্রধান করে আরও ৬ জনের নাম উল্লেখ করে হবিগঞ্জ সদর থানায় জালিয়াতির মামলা করেছেন। এ প্রেক্ষিতে একইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ আরিফকে আদালতে সোপর্দ করে। এসময় তিনি আদালতে দীর্ঘ জবানবন্দিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে এবং এই চক্রের সাথে কারা জড়িত তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মামলার বিষয়টি জানান হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির।
পুলিশ জানায়, আরিফ আদালতে চা, বিস্কুট আনা নেওয়ার কাজ করতেন। আরিফ হবিগঞ্জ সদরের এড়ালিয়া গ্রামের মন্নর আলীর ছেলে।
জামিনের ভুয়া নথি দেখিয়ে গত বুধবার কারাগার থেকে বের হয়ে যান মাদক মামলার ৪ আসামি। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফয়সল বৃহস্পতিবার জানতে পারেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হোসাইন মো.
কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়া আসামিরা হলেন-সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার শিমুলগঞ্জ গ্রামের রুয়েল মিয়া, একই উপজেলার আলী হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলার পাগলা গ্রামর আজাদ মিয়া ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কিরগাঁও গ্রামের সুয়েব মিয়া।
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’