হালের ক্রেজ পরীমণি সারা বছরই আলোচনায় থাকেন। ২০২৩ সালের শেষের দিকে ‘ডোডোর গল্প’ শিরোনামের সিনেমার শুটিং শুরু করেন তিনি। একবছর চার মাস তেইশ দিন শুটিংয়ের পর শেষ হলো সিনেমাটির শুটিং। খুশির এই সংবাদটি পরী নিজেই তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছেন। সিনেমাটিতে সাইমন সাদিকের বিপরীতে অভিনয় করেন পরীমণি। 

ভিডিওতে পীরকে বলতে শোনা যায়, ‘‘অবশেষে ১৬ মাস শুটিং শেষে আমাদের ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার শুটিং শেষ হয়েছে। আমরা সবাই খুশি। এখন বাড়ি যাবো।’

এরপর তিনি কাজটি শেষ করা নিয়ে আরো জানান, গল্পের কারণে মাঝে শুটিংয়ে কিছুটা বিরতি হয়। তবে কাজটি ভালো ভাবে যত্ন নিয়ে কারায় তিনি বেশ উচ্ছ্বাসিত।

পরীর কাছে এই সিনেমাটি অনেক স্পেশাল। কারণ ‘ডোডোর গল্প’ দিয়ে তিনি মাতৃত্বকালীন বিরতি থেকে প্রায় দুই বছর পর শুটিংয়ে ফিরেন। তাই নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজটি করেছেন এই নায়িকা।

পরী বলেন, “আমার কছে প্রতিটি সিনেমাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অভিনয় করতে আমি ভালোবাসি। সেই ভালোবাসা থেকে আমার দর্শকের জন্য আরও একটি সিনেমার শুটিং সম্পন্ন করলাম। আশাকরছি এটি সবার পছন্দ হবে।”

জি-সিরিজ প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রেজা ঘটক। এতে ‘কাজল চৌধুরী’ চরিত্রে অভিনয় করছেন পরীমণি আর ফটোগ্রাফার ‘রায়হান’ চরিত্রে দেখা যাবে সাইমন সাদিককে।

সিনেমাটি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পায়।

ঢাকা/রাহাত/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই: মন্ত্রণালয়

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করে কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত রয়েছে। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে এই কমিটি তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই কলেজগুলোর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ও মানোন্নয়নই বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য এবং এ ক্ষেত্রে করণীয় সব বিকল্পই সরকারের বিবেচনায় থাকবে। এ অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। সেজন্য আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হলো। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকার সবসময় সচেতন ও সহানুভূতিশীল রয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ