কানাডার পণ্যে আজ শনিবার থেকে শুল্ক আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এ শুল্ক আরোপের হুমকি অনেক আগেই দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কানাডার শীর্ষ নেতারা। 

দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মার্ক কার্নি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো ভাবছেন, কানাডা ভেঙে পড়বে। কিন্তু আমরা এর বিরুদ্ধে দাঁড়াব, পিছু হটব না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নেব।’

আজ থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ এবং চীনের পণ্যে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপর ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি থেকে নির্বাচনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মার্ক কার্নি। এ পর্যন্ত পাঁচজন এ পদে নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ব্যাংক অব কানাডা এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক এই গভর্নর কানাডার নিজ দলের সর্বাধিক এমপির সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

আগামী ৯ মার্চ লিবারেল পার্টির শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর বা তার আগেই কানাডায় জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৫৯ বছর বয়সী কার্নি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে ‘ডলারের বিনিময়ে ডলার দিয়ে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে’।

কার্নি আরও বলেন, এমন শুল্কের জন্য বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের যে সুনাম, তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই শুল্ক (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রবৃদ্ধিতে আঘাত হানবে। মূল্যস্ফীতি বাড়াবে। সুদের হারও বাড়াবে।

শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ‘এক দশকের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো তাদের সবচেয়ে কাছের বাণিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করেছে’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে আরেক প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ডলার-প্রতি-ডলার’ পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছেন, নতুন শুল্কের বিরুদ্ধে কানাডা ‘জোরালো’ ও ‘তাৎক্ষণিক’ জবাব দেবে।

নির্বাচনী প্রচারকালে ট্রাম্প চীনের পণ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার আগে-পরে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীভূত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আর মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘মার্কিন উপসাগর’ রাখেন। এ ছাড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়েও দেশটির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প র

এছাড়াও পড়ুন:

সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই: মন্ত্রণালয়

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করে কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত রয়েছে। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে এই কমিটি তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই কলেজগুলোর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ও মানোন্নয়নই বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য এবং এ ক্ষেত্রে করণীয় সব বিকল্পই সরকারের বিবেচনায় থাকবে। এ অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। সেজন্য আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হলো। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকার সবসময় সচেতন ও সহানুভূতিশীল রয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ