পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগরে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিএমজেএফের মুখপাত্র এস এম ইকবাল হোসেন। এ সময় সংগঠনটির সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম মানিক এবং আরেক মুখপাত্র ফরিদ আহমেদসহ অন্যান্য বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমজেএফের পক্ষ থেকে সারা দেশের সব বিনিয়োকারীকে ৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

বিনিয়োগকারীদের প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেবেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ (সাধারণ সম্পাদক, এবি পার্টি), মো.

নুরুল হক নুর (সভাপতি, গণঅধিকার পরিষদ ও সাবেক ভিপি, ডাকসু), আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লা (বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য), ড. সফিকুল ইসলাম মাসুদ (সেক্রেটারি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী), মো. ফজলুল বারী (অর্থ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক) এবং মো. দিদারুল আলম ভূঁইয়া (অর্থ সম্পাক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন)।

পুঁজি রক্ষা এবং স্বচ্ছ ও সুন্দর পুঁজিবাজারের দাবিতে ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় ঢাকার মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পুঁজিবাজার এবং বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে পুঁজিবাজারে সব অংশীজন ও সব ধারার গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভোটাধিকারের ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের ভোটের অধিকারের ব্যাপারে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জেনেভায় প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে বুধবার এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন জেনেভায় উপস্থাপনা করা হয়। এ সময় সেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। খবর বাসসের

প্রতিবেদনের বিষয়ে উপস্থাপনের পর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা বেশ কিছু প্রশ্ন ও মতামত ব্যক্ত করেন। এর মধ্যে সম্প্রতি সংখ্যালঘু ইস্যু ও পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচন ইস্যুতে করা প্রশ্নের উত্তর দেন ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক সহিসংতার ঘটনা ঘটেছে আওয়ামী লীগ রিজিমের নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে। যারা বহু বছর ধরে মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা করেছে।

আসিফ নজরুল বলেন, তবে এসব হামলার ঘটনা অধিকাংশই ঘটেছে মুসলিমদের ওপর। সামান্য কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে। এটিকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হিসেবে দেখার সূযোগ নেই। আওয়ামী রিজিমের সময় মানুষকে নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ওপর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এসব ঘটনা। আমরা সেটার নিন্দা জানাই।

তিনি বলেন, এটি সংখ্যালঘু ইস্যু ব্র্যান্ড করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের কাছে পরিসংখ্যান আছে। এ সম্পর্কে আমাদের কাছে ফ্যাক্ট চেকড তথ্য আছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্বাচন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের ভোটের অধিকারের ব্যাপারে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেটা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল হোকা বা যে কোনো স্থানেই হোক। আমরা এরইমধ্যে একটি কমিশন গঠন করেছি, যারা স্থানীয় সরকার ইস্যু নিয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার ৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার পর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ