১৬ দিন পর কার্গো বোটটি ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি
Published: 1st, February 2025 GMT
১৬ দিন পর কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে আটক পণ্যবাহী একটি কার্গো বোট ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টী আরাকান আর্মি। শনিবার বেলা পৌনে ১টায় পণ্যবাহী বোটটি টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছেছে। এর আগে ২০ জানুয়ারি আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা দুটি কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরের পৌছেছিল।
পণ্যবাহী বোট ঘাটে পৌঁছার তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘এর আগে দুটি পণ্যবাহী কার্গো বোট আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। এই বোটগুলো মালামাল খালাস করে ইয়াংগুনে ফিরে গেছে।"
তিনি বলেন, ‘১৬ দিন পর আরাকান আর্মির হাতে আটক বোটটিও ছাড়া পেয়েছি। সেটি ঘাটে নৌঙরে আছে। আমাদের কার্যক্রম শেষে, মালামাল খলাস করা হবে।’
এর আগে ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনায় আটক করা হয় পণ্যবাহী তিনটি কার্গো। এসব কার্গোতে ৫০ হাজার বস্তা শুটকি, সুপারী, কপিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। এর মধ্য গত ২০ জানুয়ারি দুটি বোট ছেড়ে দিয়েছিল আরাকান আর্মি। সেখানে ২৭ হাজার ৭২২ বস্তা মালামাল ছিল।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘১৬ দিন পর আটকে থাকা পণ্যবাহী কার্গো বোট ছেড়ে আরাকান আর্মি। বোটটি ঘাটে পৌঁছেছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে এসব পণ্যবাহী বোট আটকে রাখার পর ইয়াংগুন থেকে কোনো পণ্যবাহী বোট আসেনি।’
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘দেড় মাস পর ১৬ জানুয়ারি শনিবার ইয়াংগুন থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীর পণ্যবাহী কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নাফ নদের মোহনায় সে দেশের জলসীমানার নাক্ষ্যংকদিয়া এলাকায় তল্লাশির নামে পণ্যবাহী তিনটি বোট আটকে দিয়েছিল আরাকান আর্মি। এর মধ্যে আচার, শুঁটকি, সুপারি, কপিসহ ৫০ হাজারের বেশি বস্তা পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো.
এ বিষয়ে আমদানিকারক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘আরাকান আর্মির হাত থেকে ১৬ দিন পর পণ্যবাহী কার্গো বোট ঘাটে পৌঁছেছে। সেখানে আমাদের ১৬ শ’ বস্তা শুটকি রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে ‘
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আরও একট পণ্যবাহী কার্গো ঘাটে পৌঁছেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম আর ক ন আর ম র হ ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
আখাউড়া দিয়ে ভারত থেকে এল আরও পাঁচ টন মসুর ডাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরও পাঁচ টন মসুর ডাল আমদানি করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে ডাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
আজ বৃহস্পতিবার এসব ডাল বন্দর থেকে খালাস হবে বলে জানা গেছে। প্রতি কেজি ১০৮ টাকা দরে মসুর ডাল আমদানি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ টন মসুর ডাল আমদানি হয়।
রমজানকে সামনে রেখে ডাল আমদানি করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বাজারে ভালো দর পাওয়া গেলে ও চাহিদা থাকলে নিয়মিত ডাল আমদানি করা হবে। এছাড়া অন্যান্য পণ্যও আনার চিন্তা করছেন ব্যবসায়ীরা।
চলতি অর্থ বছরে এর আগে এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি করা হয়। ৬ জানুয়ারি পাঁচ টন জিরা আসে, যা চলতি অর্থ বছরে প্রথমবারের মতো আমদানির ঘটনা। আখাউড়া স্থলবন্দর মূলত রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে পরিচিত।
সূত্র জানায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এশিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল টন প্রতি ৯০০ ডলারে এসব ডাল আমদানি করেছে। সিএন্ডএফ ছিল আখাউড়ার মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। রপ্তানিকারক হলো, ভারতের কলকাতার এমক্সটিম প্রাইভেট লিমিটেড।
মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন জানান, দুই দফায় ত্রিপুরার স্থানীয় বাজার থেকে ডাল আমদানি করা হয়। রমজানকে সামনে রেখে আরও ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।