ব্রাজিলের ফুটবল রাজপুত্র নেইমার ফিরলেন তার শৈশবের ক্লাবে, সান্তোসে। ক্লাবটি তার প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ‘দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক’ বার্তায় ভেসে যাচ্ছে সান্তোসের স্টেডিয়াম। নেইমারকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত ছিল ক্লাব ও সমর্থকরা।  

আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পর নেইমারের সান্তোসে ফেরা কেবল সময়ের অপেক্ষা ছিল। তার জন্য বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয় ক্লাবের মাঠ। প্রায় ২০ হাজার সমর্থক স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন তার স্বাগত জানাতে। বাইরেও উপচে পড়া ভিড় ছিল, সবাই এক ঝলক নেইমারকে দেখার জন্য উদগ্রীব।  

সান্তোসের ঐতিহ্যবাহী সাদা জার্সি পরে মাঠে প্রবেশ করেন নেইমার। ক্লাব কর্মকর্তারা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। শৈশবের ক্লাবে ফিরে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। মাঠে মাথা নত করে প্রিয় ক্লাবের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বিখ্যাত গোল উদ্‌যাপন ভঙ্গিমায় হাতজোড় করে ক্লাবের লোগোতে চুমু খান। একপর্যায়ে চোখের জলও মুছতে দেখা যায় তাকে।  

আবেগময় কণ্ঠে নেইমার বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। এই ক্লাবে আমার দারুণ কিছু স্মৃতি আছে। এখানে ফিরে আসাটা স্বপ্নের মতো। এখন আমার পরবর্তী লক্ষ্য ব্রাজিল জাতীয় দলে ফেরা ও ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা।’

২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সান্তোসের হয়ে খেলেছিলেন নেইমার। সে সময় ১১ নম্বর জার্সি গায়ে চাপালেও এবার কিংবদন্তি পেলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন তিনি।  

পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে সান্তোসে ফেরার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে নেইমার বলেন, ‘কিছু সিদ্ধান্ত থাকে, যা শুধু ফুটবলের জন্য নেওয়া হয় না। আল হিলালে ভালোই ছিলাম, পরিবারও ভালো ছিল। তবে অনুশীলনে নিজেকে সুখী মনে হয়নি। ফিরতে পারার সুযোগ পেয়ে আর দ্বিতীয়বার ভাবিনি। এখানে পা রাখার পর থেকেই মনে হচ্ছে, আমি আবার ১৭ বছর বয়সে ফিরে গেছি।’  

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বোটাফোগোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই সান্তোসের হয়ে দ্বিতীয় অধ্যায়ের যাত্রা শুরু করতে পারেন নেইমার।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

টিউশন শেষে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের তৎপরতায় চার ঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম শাকিল আহমেদ। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভাপতি।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুমিল্লা শহর থেকে ফেরার পথে কয়েকজন অপহরণকারী তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার পরিবার ও বন্ধুদের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় চার ঘণ্টা পর কুমিল্লার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে শাকিলকে উদ্ধার করেন। এসময় এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়।

এবিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মুহসিন জামিল বলেন, রাত ১২টা ৫৮ মিনিটে আমরা জানতে পারি সবুজকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আটকে রেখে টাকা দাবি করছে। গ্যাংয়ের সদস্যরা সবুজের মাধ্যমে ফোন দিচ্ছে। তারপর আমরা ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাঈদ ভাইকে জানালে ওনারা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর থেকেই পুলিশ সবুজের লোকেশন ট্রেস করতেছিল। পরবর্তীতে পুলিশ ও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪ ঘণ্টা পর একটা পরিত্যক্ত বিল্ডিং থেকে সবুজকে উদ্ধার করি।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সদস্য সচিব মুহাম্মাদ রাশেদুল হাসান বলেন, সবুজের বিষয়টি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাঈদ আমাকে অবগত করে। সাথে সাথে ওসি কোতোয়ালিকে ফোন দিয়ে তা জানানো হয়। আমাদের মহানগর কমিটির একটি টিম কান্দিরপাড় অঞ্চলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সবুজের লোকেশন শনাক্ত করা হয়। পুলিশ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান মোরশেদ কাজেম স্যার, বৈবিছা-র সদস্যবৃন্দ, সবুজের সিনিয়র-জুনিয়র-ব্যাচমেট সবার তৎপরতায় আনুমানিক রাত ৩টায় সবুজকে উদ্ধার করতে আমরা সমর্থ হই।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিন থেকে পাঁচজনের একটি চক্র শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনের আগেই বিচার করতে হবে: সাদ্দাম
  • কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফার খবরে দরবৃদ্ধির শীর্ষে এনার্জিপ্যাক
  • কেউ বললেই যেন আমরা বিদেশে দৌড় না দেই : শামীম আজাদ