কলাপাড়ায় বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার
Published: 1st, February 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাড়ে ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করেছে অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্যরা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ওমেদপুর গ্রাম থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।
অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর সদস্য মাসুদ হাসান বলেন, ‘‘সোলায়মান হাওলাদার নামের এক কৃষকের বাড়ি থেকে জালে পেঁচানো অবস্থায় সাপটি উদ্ধারের পর ওই এলাকার সংরক্ষিত বনে অবমুক্ত করা হয়। এর আগে, গতকাল পশ্চিম হলদিবাড়ি গ্রাম থেকে ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের আরো একটি শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করা হয়।’’
কলাপাড়া বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল হক মনি বলেন, অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর সদস্যরা স্বেচ্ছায় বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল এবং আজ তারা দুটি শঙ্খিনী সাপ উদ্ধারের পর অবমুক্ত করেছে।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’