সামনেই ভালোবাসা দিবস। এই দিবসকে সামনে রেখে সুখবর দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। রোমান্টিক সিনেমা নিয়ে বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন মিথিলা।
এক সময়ের নাটকের জনপ্রিয় জুটি এফ এস নাঈম ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা এবার একসঙ্গে বড় পর্দায় আসছেন। মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাদের ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমাটি। অরুণ চৌধুরী পরিচালিত সিনেমাটিতে জুটিবদ্ধ হয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নিজের সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথিলা লেখেন, দীর্ঘ চার বছর ধরে আটকে থাকা সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’ অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে এ মাসেই।
আরো পড়ুন:
সৃজিত-মিথিলার ‘নিস্তব্ধ’ দাম্পত্য জীবন নিয়ে সরব তসলিমা
এই স্বাধীনতা বাংলাদেশের মানুষের: মিথিলা
২০২০-২১ অর্থবছরে সিনেমাটি অনুদান পায়। করোনা মহামারিকালে ২০২১ সালের অক্টোবরে মানিকগঞ্জে ‘জলে জ্বলে তারা’ এর শুটিং শুরু হয়। সিনেমার শুটিং শেষ হতে লাগে মাত্র সপ্তাহ। তবে মুক্তি পেতে লেগে গেলো দীর্ঘ সময়। এর আগে মুক্তির একাধিকবার তারিখ ঠিক করেও সিনেমাটির মুক্তি পিছিয়ে যায়। গত বছরও সিনেমা মুক্তির তালিকায় ছিল; কিন্তু জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আর মুক্তি দেননি পরিচালক। চলতি বছরে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সিনেমাটি মুক্তি দিতে চান পরিচালক।
‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আজাদ আবুল কালাম, নূর ইমরান মিঠু প্রমুখ।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’