Risingbd:
2025-04-25@13:02:33 GMT

সুখবর দিলেন মিথিলা

Published: 1st, February 2025 GMT

সুখবর দিলেন মিথিলা

সামনেই ভালোবাসা দিবস। এই দিবসকে সামনে রেখে সুখবর দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। রোমান্টিক সিনেমা নিয়ে বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন মিথিলা।

এক সময়ের নাটকের জনপ্রিয় জুটি এফ এস নাঈম ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা এবার একসঙ্গে বড় পর্দায় আসছেন। মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাদের ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমাটি। অরুণ চৌধুরী পরিচালিত সিনেমাটিতে জুটিবদ্ধ হয়েছেন তারা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নিজের সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথিলা লেখেন, দীর্ঘ চার বছর ধরে আটকে থাকা সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’ অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে এ মাসেই। 

আরো পড়ুন:

সৃজিত-মিথিলার ‘নিস্তব্ধ’ দাম্পত্য জীবন নিয়ে সরব তসলিমা

এই স্বাধীনতা বাংলাদেশের মানুষের: মিথিলা

২০২০-২১ অর্থবছরে সিনেমাটি অনুদান পায়। করোনা মহামারিকালে ২০২১ সালের অক্টোবরে মানিকগঞ্জে ‘জলে জ্বলে তারা’ এর শুটিং শুরু হয়। সিনেমার শুটিং শেষ হতে লাগে মাত্র সপ্তাহ। তবে মুক্তি পেতে লেগে গেলো দীর্ঘ সময়। এর আগে ‍মুক্তির একাধিকবার তারিখ ঠিক করেও সিনেমাটির মুক্তি পিছিয়ে যায়। গত বছরও সিনেমা মুক্তির তালিকায় ছিল; কিন্তু জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আর মুক্তি দেননি পরিচালক। চলতি বছরে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সিনেমাটি মুক্তি দিতে চান পরিচালক।

‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আজাদ আবুল কালাম, নূর ইমরান মিঠু প্রমুখ।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পত্রিকা বিক্রেতাকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই 

প্রায় ২০ বছর ধরে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পত্রিকা বিক্রি করতেন আনিস মিয়া ঠান্ডা। সংসারের অতিরিক্ত ব্যয় মেটানোর জন্য সকালে পত্রিকা বিক্রির পর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালাতেন। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তার রক্তাক্ত মরদেহ সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

স্বজনদের দাবি, আনিস মিয়াকে হত্যা করে তার ইজিবাইক নিয়ে পালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। 

আনিস গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কিশামত ফলিয়া গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে।

নিহতের প্রতিবেশী সুজন মাস্টার প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন আনিস। রাত দেড়টার দিকে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে কয়েকজন সন্ত্রাসী যাত্রী সেজে আনিসের ইজিবাইকে ওঠেন। তারা আনিসকে গাইবান্ধা স্টেডিয়ামের দিকে যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তিরা আনিসের কাছে ইজিবাইকের চাবি চান। চাবি না দেওয়ায়, আনিসের সঙ্গে তাদের প্রথমে ধ্বস্তাধস্তি হয়। পরে তারা ছুরি দিয়ে আনিসের পেটে আঘাত করেন। আনিসকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে তারা ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যান। 

শুক্রবার ভোরে এক পথচারী আনিসকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে চিনতে পারেন এবং বাড়িতে খবর দেন। পরে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে  চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আনিসকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে আনিস মারা যান। 

নিহতের চাচাতো ভাই রুহিল মিয়া  জানান, আনিসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখেছে রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে তারা। লাশ দাফনের পর গাইবান্ধায় হত্যা মামলা করবে পরিবার। 

গাইবান্ধা পত্রিকা বিতানের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রহমান জানান, আনিস দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধা শহরে পত্রিকা বিক্রি করতেন। তিনি ভালো মানুষ ছিলেন।  হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, “স্টেডিয়াম এলাকায় এক যুবক সন্ত্রাসীদের আঘাতে মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি। কোনো অভিযোগ পাইনি।  অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ