ধানুশের কাছে আইনি লড়াইয়ে হেরে গেলেন নয়নতারা। গত বছর নভেম্বরে নয়নতারার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন ধানুশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ ভারতীয় এই দুই তারকা নেমে পড়েছিলেন আইনি লড়াইয়ে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের মধ্য দিয়ে দুই মাসের সেই লড়াইয়ে ফলাফল চলে গেছে অভিনেতা ও প্রযোজক ধানুশের পক্ষে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, লেডি সুপারস্টার-খ্যাত অভিনেত্রী নয়নতারা তাঁর অভিনয় জীবনের সফর নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছিলেন। ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেইরিটেল’ নামের সেই ডকুমেন্টারিতে ধানুশ প্রযোজিত ‘নাম রাউডি ধান’ সিনেমার ৩ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু ধানুশের অভিযোগ তাঁর কাছে অনুমতি না নিয়েই ‘নাম রাউডি ধান’ সিনেমার ফুটেজ ব্যবহার করেছেন অভিনেত্রী। এতে করে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হয়েছে। তাই আইনজীবীর মাধ্যমে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল নয়নতারাকে।

একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডকুমেন্টারি থেকে ধানুশের সিনেমার ফুটেজ সরিয়ে ফেলার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। নইলে ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু নয়নতারা সেই আলটিমেটামে কান দেননি।

উল্টো ইনস্টাগ্রামে এক খোলা চিঠিতে ধানুশের এ দাবিকে ‘অত্যন্ত নিচু মানসিকতা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। আর এ বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি ধানুশ। অভিনয় জগতের দুই সতীর্থ নয়নতারা ও তাঁর স্বামী ভিগনেশ শিবান এবং তাদের প্রোডাকশন হাউস রাউডি পিকচার্সকেও বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ল ন

এছাড়াও পড়ুন:

সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে। 

এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। 

লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।

২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে। 

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ