“আমরা এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত নয়”, ম্যাচ শেষে এভাবেই নিজের হতাশা ঝারলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি, ২০২৫) পুনেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ভারত এমন একটি বিতর্কিত কাজ করেছে, যার ফলে বদলে গিয়েছে সিরিজ নির্ধারনি ম্যাচের হিসাব নিকাশ! স্বাগতিকরা শিবম দুবের কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নেমেছিল হর্ষিত রানাকে। সেটাও দুবে ব্যাট হাতে ঝড়ো ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ফেলার পরে। এরপর হর্ষিত ৩ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেয় ইংলিশদের মিডেলঅর্ডার। স্বাগতিক ভারতও জয় পায় ১৫ রানে। 

আরো পড়ুন:

তীরে এসে ডুবল ইংল্যান্ডের তরী, ভারতে খোয়াল সিরিজ

ভারতকে জিতিয়ে অনন্য রেকর্ডে তিলক 

 

এখন বলা যায় যে, কনকাশন সাব তো ক্রিকেট নিয়মেরই অংশ। তাহলে ইংলিশ অধিনায়ক কেন এই ব্যাপারটার সঙ্গে একমত পোষণ করছেন না? ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে যদি কনকাশন সাবের নিয়ম ঘাঁটা হয়। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে যে, কোনো খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে ওই খেলোয়াড়ের জায়গায় তার মতোই কাউকে নামাতে পারবে। অর্থাৎ ব্যাটসম্যানের জায়গায় ব্যাটসম্যান, বোলারের জায়গায় বোলার।

বাস্তবতা হচ্ছে দুবে ও রানা একই ধরনের ক্রিকেটার নন। দুবে ব্যাটিং অলরাউন্ডার, যাকে ইদানীং বল  হাতে দেখা যায় না বললেই চলে। অন্যদিকে রানা পেসার, যিনি অনায়াসে ঘন্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বেগে বল করতে পারেন। ম্যাচ শেষে বাটলার তাই খোঁচাটা দিতে ভুললেন না, “হয় দুবে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বলের গতি বাড়িয়েছে নয়তো হর্ষিত তার ব্যাটিংয়ে অনেক উন্নতি করেছে।”

থ্রি-লায়ন্স অধিনায়ক কনকাশন সাবের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন না। তবে তিনি হতাশ দুবের বদলি হিসেবে রানা খেলার অনুমতি পাওয়াতে। বাটলার কিছুটা মজার ছলেই বলেন, “হয়তো পরের ম্যাচে টসের সময় আমি ১২ জন নিয়ে খেলার অনুমতি চাইব।”

খোঁচাটা স্পষ্ট। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার খেলাতে পারে। যেখানে একজনকে দিয়ে ব্যাটিং করিয়ে পরে তাঁর জায়গায় একজন বোলার খেলানো যায়। ভারত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সেই নিয়ম চালিয়ে দিতে চাইল।

ভারতের ইনিংসের ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে দুবের মাথায় বল লাগে। এরপরও খেলা চালিয়ে যান এই বাঁহাতি। এমনকি ইংল্যান্ড ইনিংসের ২ ওভার শেষে রানা জানানো হয় কনকাশন সাব হিসেবে তাকে খেলতে হবে। অভিষিক্ত এই পেসার ৩৩ রান দিয়ে শিকার করেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন, জ্যাকব বেথেল ও জেমি ওভারটনের মত গুরুত্বপূর্ন উইকেটগুলো।

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হারের জন্য কনকাসন সাবকে সরাসরি দায়ী না করলেও ব্যাপারটা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। বাটলার জানিয়েছেন, ম্যাচ রেফারির কাছে ব্যাখ্যা চাইবেন, “এমনটা খেলার অংশ, আর আমাদের ম্যাচটি জেতা উচিত ছিল, তবে আমরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই। আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। ব্যাটিংয়ে নামার সময় আমি ভাবছিলাম, রানা কার জায়গায়? ম্যাচ রেফারিই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে আমরা জাভাগাল শ্রীনাথকে (ম্যাচ রেফারি) কিছু প্রশ্ন করব।” 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়ম ভেঙে ভারত ম্যাচ জিতল ১২ জন নিয়ে!

“আমরা এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত নয়”, ম্যাচ শেষে এভাবেই নিজের হতাশা ঝারলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি, ২০২৫) পুনেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ভারত এমন একটি বিতর্কিত কাজ করেছে, যার ফলে বদলে গিয়েছে সিরিজ নির্ধারনি ম্যাচের হিসাব নিকাশ! স্বাগতিকরা শিবম দুবের কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নেমেছিল হর্ষিত রানাকে। সেটাও দুবে ব্যাট হাতে ঝড়ো ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ফেলার পরে। এরপর হর্ষিত ৩ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেয় ইংলিশদের মিডেলঅর্ডার। স্বাগতিক ভারতও জয় পায় ১৫ রানে। 

আরো পড়ুন:

তীরে এসে ডুবল ইংল্যান্ডের তরী, ভারতে খোয়াল সিরিজ

ভারতকে জিতিয়ে অনন্য রেকর্ডে তিলক 

 

এখন বলা যায় যে, কনকাশন সাব তো ক্রিকেট নিয়মেরই অংশ। তাহলে ইংলিশ অধিনায়ক কেন এই ব্যাপারটার সঙ্গে একমত পোষণ করছেন না? ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে যদি কনকাশন সাবের নিয়ম ঘাঁটা হয়। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে যে, কোনো খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে ওই খেলোয়াড়ের জায়গায় তার মতোই কাউকে নামাতে পারবে। অর্থাৎ ব্যাটসম্যানের জায়গায় ব্যাটসম্যান, বোলারের জায়গায় বোলার।

বাস্তবতা হচ্ছে দুবে ও রানা একই ধরনের ক্রিকেটার নন। দুবে ব্যাটিং অলরাউন্ডার, যাকে ইদানীং বল  হাতে দেখা যায় না বললেই চলে। অন্যদিকে রানা পেসার, যিনি অনায়াসে ঘন্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বেগে বল করতে পারেন। ম্যাচ শেষে বাটলার তাই খোঁচাটা দিতে ভুললেন না, “হয় দুবে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বলের গতি বাড়িয়েছে নয়তো হর্ষিত তার ব্যাটিংয়ে অনেক উন্নতি করেছে।”

থ্রি-লায়ন্স অধিনায়ক কনকাশন সাবের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন না। তবে তিনি হতাশ দুবের বদলি হিসেবে রানা খেলার অনুমতি পাওয়াতে। বাটলার কিছুটা মজার ছলেই বলেন, “হয়তো পরের ম্যাচে টসের সময় আমি ১২ জন নিয়ে খেলার অনুমতি চাইব।”

খোঁচাটা স্পষ্ট। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার খেলাতে পারে। যেখানে একজনকে দিয়ে ব্যাটিং করিয়ে পরে তাঁর জায়গায় একজন বোলার খেলানো যায়। ভারত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সেই নিয়ম চালিয়ে দিতে চাইল।

ভারতের ইনিংসের ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে দুবের মাথায় বল লাগে। এরপরও খেলা চালিয়ে যান এই বাঁহাতি। এমনকি ইংল্যান্ড ইনিংসের ২ ওভার শেষে রানা জানানো হয় কনকাশন সাব হিসেবে তাকে খেলতে হবে। অভিষিক্ত এই পেসার ৩৩ রান দিয়ে শিকার করেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন, জ্যাকব বেথেল ও জেমি ওভারটনের মত গুরুত্বপূর্ন উইকেটগুলো।

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হারের জন্য কনকাসন সাবকে সরাসরি দায়ী না করলেও ব্যাপারটা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। বাটলার জানিয়েছেন, ম্যাচ রেফারির কাছে ব্যাখ্যা চাইবেন, “এমনটা খেলার অংশ, আর আমাদের ম্যাচটি জেতা উচিত ছিল, তবে আমরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই। আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। ব্যাটিংয়ে নামার সময় আমি ভাবছিলাম, রানা কার জায়গায়? ম্যাচ রেফারিই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে আমরা জাভাগাল শ্রীনাথকে (ম্যাচ রেফারি) কিছু প্রশ্ন করব।” 

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ