বিপিএলে স্পট ফিক্সিং বিতর্কে এবার সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়। চলমান তদন্তের কারণে আপাতত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন ইউনিট। যদিও এখনও কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

বিপিএলের শুরুর দিক থেকেই দুর্বার রাজশাহীর কিছু ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। বিশেষ করে এনামুল হকের কয়েকটি পারফরম্যান্স প্রশ্নের মুখে পড়ে। বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে তার নামসহ আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এনামুল হকের বিষয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি তদন্ত চলাকালে দেশ না ছাড়তে পারেন। তবে তিনি আরও জানান, এটি কেবল সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।  

শুধু এনামুল হক বিজয়ই নন, দুর্বার রাজশাহীর আরও কয়েকজন ক্রিকেটার ফিক্সিং সন্দেহের তালিকায় আছেন। এছাড়া বিপিএলের আরও তিনটি দলের কিছু ক্রিকেটার ও কর্মকর্তার গতিবিধিও নজরদারিতে রেখেছে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট।  

উল্লেখ্য, চলতি বিপিএলে শুরুতে দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক ছিলেন এনামুল হক বিজয়। তবে আকস্মিকভাবে তাকে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়। তদন্তের ফলাফলই শেষ পর্যন্ত উন্মোচন করবে এই বিতর্কের আসল সত্য।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে যুবকের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন 

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ইসরাফিল নামে এক যুবককে কুপিয়ে দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইসরাফিল ওই এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইসরাফিলের বাবা তাইজুল ইসলাম বহুদিন পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এসে বাড়ি করেন। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী ইসরাফিলের চিৎকারে এগিয়ে গিয়ে তাকে রাস্তার ধারে দুই হাত কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাটোর সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত বলেন, “রোগীর দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বলে মনে হলো। সকাল ৭টার দিকে রোগীকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।”

সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, “রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেনি। পরকীয়া সংক্রান্ত একটা বিষয় থাকতে পারে, সেই বিষয়টাও যাচাই-বাছাই করছি। যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্তসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/আরিফুল/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ