ফিক্সিং ইস্যুতে বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 1st, February 2025 GMT
বিপিএলে স্পট ফিক্সিং বিতর্কে এবার সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়। চলমান তদন্তের কারণে আপাতত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন ইউনিট। যদিও এখনও কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিপিএলের শুরুর দিক থেকেই দুর্বার রাজশাহীর কিছু ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। বিশেষ করে এনামুল হকের কয়েকটি পারফরম্যান্স প্রশ্নের মুখে পড়ে। বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে তার নামসহ আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এনামুল হকের বিষয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি তদন্ত চলাকালে দেশ না ছাড়তে পারেন। তবে তিনি আরও জানান, এটি কেবল সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
শুধু এনামুল হক বিজয়ই নন, দুর্বার রাজশাহীর আরও কয়েকজন ক্রিকেটার ফিক্সিং সন্দেহের তালিকায় আছেন। এছাড়া বিপিএলের আরও তিনটি দলের কিছু ক্রিকেটার ও কর্মকর্তার গতিবিধিও নজরদারিতে রেখেছে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট।
উল্লেখ্য, চলতি বিপিএলে শুরুতে দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক ছিলেন এনামুল হক বিজয়। তবে আকস্মিকভাবে তাকে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়। তদন্তের ফলাফলই শেষ পর্যন্ত উন্মোচন করবে এই বিতর্কের আসল সত্য।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’