‘তুফান’ সিনেমার পর ফের অ্যাকশন অবতারে দেখা যাবে ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানকে। তাঁর এবারের মিশনের নাম ‘বরবাদ’। সিনেমাটির প্রথম লটের শুটিংয়ে অংশ নিতে গত বছরের ২২ অক্টোবর মুম্বাইয়ে যান শাকিব খান। সেখানের একটি স্টুডিওতে ২৪ অক্টোবর থেকে শুটিংয়ে অংশ নেন নায়ক। টানা চলতে থাকে শুটিং। এরপর কলকাতায়ও শুটিং হয়ে ঢাকায় দুই দিনে শুটিং হয় বলে জানা গেছে।

নতুন খবর হচ্ছে, সিনেমাটির শুটিং এবার শেষ। যে শহরে সিনেমাটির ক্যামেরা ওপেন হয়, সেই মুম্বাইতেই বরবাদের ক্লোজ হওয়ার খবর এলো। মানে মুম্বাইতে শেষ হলো বরবাদের শুটিং। গত বুধবার শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরেছেন শাকিব খান।

ঢাকায় ফিরে সিনেমাটি নিয়ে নায়ক বললেন, ‘শুরু থেকেই বরবাদ সিনেমাটির হাইপ অন্যরকম। সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মাঝে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, আমরা সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।  আমার বিশ্বাস, সিনেমা হলে গিয়ে দর্শকরা তৃপ্তি নিয়েই ফিরবে। বরবাদ বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এটা বিগ স্কেলের ছবি। সব মিলিয়ে ভালো কিছু পেতে যাচ্ছে দর্শক।’

সিনেমাটি অ্যাকশন ভায়োলেন্স রোমান্টিক ধাঁচের ছবি। নির্মাণে কোনো দিকেই কমতি রাখা হয়নি বলে নায়কের কথায় উঠে আসে। যদিও সিনেমাটির শুরু থেকেই শাকিব খান বরবাদের আকাশচুম্বি প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। সিনেমার শুটিং শেষ করে এসে সে প্রত্যাশার ভিত্তি আরও মজবুত হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিলেন। 

গেল ডিসেম্বরে শাকিবের ‘বরবাদ’-এর মোশন পোস্টারটি প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে মোশন পোস্টার উন্মোচন করার সে আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সিয়াম আহমেদ, পূজা চেরী, দীঘি, শবনম ফারিয়া, মিম মানতাশা এবং বিদ্যা সিনহা মিম।

সে সময় শাকিব খান বলেন, ‘বরবাদ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এক নতুন ইতিহাস রচনা করবে বলে আমি মনে করি। এ ছবিটি সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে, একটি গ্র্যান্ড সেটিংয়ে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রত্যেক কলাকুশলী মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন। আমি প্রত্যাশা করছি বরবাদ শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরে বাংলা ভাষায় কথা বলা সবার মন জয় করবে। আমার প্রত্যাশা, আয়ের দিক থেকে এটি শতকোটির ক্লাবে প্রবেশ করবে।’

‘বরবাদ’ সিনেমাতে শাকিব খানের বিপরীতে আছেন ভারতীয় নায়িকা ঈধিকা পাল। একটি আইটেম গানে দেখা যাবে আরেক ভারতীয় নায়িকা নুসরাত জাহানকে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। 
এদিকে ঢাকায় ফিরেই শাকিব খান আজ ছুটে যাচ্ছেন মিরপুরের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। খুলনা টাইগারসের সঙ্গে বিপিএলে নিজের দল ঢাকা ক্যাপিটালের শেষ ম্যাচটা মাঠে বসেই উপভোগ করবেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফিক্সিংয়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি: বিজয় 

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিক্সিংয়ে সন্দেহের তালিকায় আছেন এনামুল হক বিজয়। এমন সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার দুই দিনের মাথায় বিজয়ের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার সংবাদ প্রচারিত হতে থাকে। 

এ ব্যাপারে কি প্রতিক্রিয়া বিজয়ের? দুর্দান্ত রাজশাহীকে প্রথম ৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার রাইজিংবিডির সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করেন। এ সময় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, এ সব সম্পূর্ণ মিথ্যা।

বিজয় স্পষ্টত বলেন, “(অভিযোগগুলো) মিথ্যা তো মিথ্যাই, এগুলো হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি। এত বছর আল্লাহ দিলে (হৃদয়ে ধারণ করে) ক্রিকেট খেলছি, বিপিএল সম্মানের সাথে খেলছি, সাথে বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি। এখনও তো অনেক সময় পড়ে আছে। বাংলাদেশ দলকে বারবার প্রতিনিধিত্ব করতে চাই, না হলে পরিশ্রমের দরকার কি। এনসিএল, বিপিএল, প্রিমিয়ার লীগ জান দিয়ে খেলে খেলে যদি এই ধরণের কথা শুনতে হয় কষ্ট তো লাগবেই।”

আরো পড়ুন:

ফিক্সিংয়ের সংবাদ নিয়ে মিথুন 
আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে, এটা কখনো ছাড় দেই না

তানজীমের দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বহাল হচ্ছে না

“আমি যেটাই দেখতেছি খুবই অবাক হচ্ছি এবং কষ্ট পাচ্ছি। আমাদের মিডিয়া যে একটা মানুষকে হেয় করে কি মজা পাচ্ছে ভিউয়ের জন্য! সবার তো পরিবার আছে, বন্ধু আছে কত মানুষ দেখে তাদের, ভক্ত, অনুসারিদের কথা বাদই দিলাম, কাছের মানুষ স্ত্রী আছে বাচ্চা আছে। এই সংবাদগুলো করে আসলে কি মজা পাচ্ছে?”-আরও যোগ করেন বিজয়। 

রাজশাহীর হয়ে ১২ ম্যাচে ৩৯২ রান করেছেন। সেঞ্চুরিও আছে একটি। তাকে চাপমুক্ত রাখার জন্য শেষ দিকে নেতৃত্বে বদল আনে রাজশাহী। তার দল এখন অপেক্ষায় আছে প্লে অফের। এর মধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ফিক্সিং নিয়ে সংবাদ হতে থাকে। এ সব দেখার পর থেকে বিসিবির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন তিনি। তার ভাষ্য, আকসু বা বিসিবি যে কোনো বিষয়ে যে কোনো ক্রিকেটারকে ডাকতে পারে, কথা বলতে পারে। তার মানে না যে অভিযোগ প্রমাণিত। 

বিজয় বলেন, “এখন তাদের উদ্দেশ্য কি? এগুলো নিয়ে আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি যে, কেন তারা এগুলো আসলে করলো কোনো ধরনের সাক্ষী-প্রমান ছাড়া। মনে করেন, যে কাউকেই ডাকতে পারে বিসিবি, শুনতে পারে কি হয়েছে বা না হয়েছে বা যে কোনো মানুষের সঙ্গেই কথা বলতে পারে। এর মানে এই না যে, সে অপরাধী। দুনিয়াতে সবার সঙ্গে সবার আলোচনা হতেই পারে বা বিসিবি থেকেও কোনো কিছু আমাকে জানায়নি।”

 

বিসিবির কারও সাথে এই অস্বস্তিকর ব্যাপারগুলো নিয়ে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিজয় বলেন, “আমি ফাহিম স্যারের সঙ্গে কথা বললাম, যে এরকম নিউজ আসছে। কারণটা কি? আমার অপরাধটা কি বা আমি কারও ক্ষতি করছি কিনা কিংবা কি করলাম যে, এরকম নিউজগুলো আসছে? স্যার বললেন- ঠিক আছে আমি বিসিবিতে যাচ্ছি, দেখি কি করা যায়।”

এদিকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার খবরও বিজয় দেখেছেন গণমাধ্যমে, “কেউ আমাকে কিছু জানালো না যে, দেশত্যাগ করতে পারবো না বা আমি এটার মধ্যে জড়িত। আমি আসলে দেখছি আর অবাক হচ্ছি যে, এগুলো কেনো হচ্ছে আসলে। খুবই কষ্ট পাচ্ছি।”

এ সব ষড়যন্ত্র নাকি অন্য কিছু বুঝতে পারছে না বিজয়, “ষড়যন্ত্র নাকি কি এটা তো আসলে আমি বুঝতেই পারছি না। ষড়যন্ত্র নাকি ভিউয়ার চাচ্ছে, নাকি মজা নিচ্ছে, তাদের প্ল্যান আমি জানি না। আসলে কারা করাচ্ছে কেনই বা করছে, আমাকে বলতো যে, ভাই আমি এই কারণে করতেছি তাও আমি শুনতাম যে, কেন করতেছে। একদমই অবাক করা বিষয়।”

গণমাধ্যমে এ সব দেখার পর আইনি পথে হাটার কথা জানিয়েছেন বিজয়, “শুক্র-শনি তো বন্ধ ছিলো, আমি যে কোনো লিগ্যাল অ্যাকশন নিবো সেটার তো সুযোগ ছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে নিউজগুলো শুরু হয়। এখন তো রবিবার অর্থাৎ কাল পর্যন্ত ওয়েট করা লাগতেছে। আর আমি যাচ্ছি, আইনজীবির সঙ্গে কথা হবে। একটা বড় স্টেপ তো আমি নিবোই। কারণ যেভাবে নেগেটিভ নিউজ হয়েছে, একে পজিটিভ করা অনেক ডিফিকাল্ট। কারণ, মানুষ নেগেটিভটাই পছন্দ করে শুনতে। সেক্ষেত্রে আমার থেকে ক্লিয়ার করা জরুরী। যে ব্যাপারটা কেমন আমি কত কষ্ট পাচ্ছি বা কি হচ্ছে।”

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ