অগ্নি নির্বাপণে বিশেষ অবদান রাখায় পুরস্কার পেলেন ওয়ালটনের গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের কর্মকর্তারা।   সম্প্রতি তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়। 

গত বছরের ১৮ নভেম্বর ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতাধীন গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের ভবনে ইলেকট্রিক শট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ওই সার্ভিস পয়েন্টে কর্মরত কর্মীরা বিচক্ষণতার সঙ্গে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের এই পদক্ষেপের কারণে  প্রাণহানী ও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। 

অগ্নি নির্বাপণ ও দুর্ঘটনা রোধে গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের কর্মীদের বিচক্ষণতা ও দায়িত্বশলতার কারণে তাদের সবাইকে বিশেষ প্রশংসাপত্র ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করে ওয়ালটন কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট। 

গত ২৮ জানুয়ারি ওয়ালটন ওয়ালটন কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের চিফ সার্ভিস অফিসার মো.

নিয়ামুল হক, হেড অব ইনভেস্টিগেশন ম্যানেজমেন্ট অরুপ সাহা, ইনভেস্টিগেশন ম্যানেজমেন্ট প্রতিনিধি রুহুল ইসলাম রনি, হেড অব ইএইচএস (সিএসএম) মো. মাহমুদুর রহমান, ডিভিশনাল সার্ভিস অফিসার মনিসংকর সিকদার উপস্থিত থেকে গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের কর্মরত সবার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।

ঢাকা/আকরাম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান

রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশে আবুল বাসার ফুল মিয়া নামে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় তা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর উদ্যোগে হাতিয়া উপজেলার প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম আদর্শ মহিলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করা হয়।

জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার মো. আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল উদ্দিন রাশেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। 

সমাবেশে হাতিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আবুল বাসার ফুল মিয়া ‘জয় বাংলা’ বলে বক্তব্য শেষ করেন। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ‘জয় বাংলা’ আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান হিসেবে বিবেচিত হয়। 

এ বিষয়ে আবুল বাসার ফুল মিয়া বলেছেন, “আমি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিই নাই। জয় বাংলা স্লোগান আমাদের দুশমন, এটা আমাদের খান্দানের দুশমন। কেন আমি জয় বাংলা বলব? আমি ‘তারেক জিয়া জিন্দাবাদ’ বলেছিলাম।”

তিনি দাবি করেন, বক্তব্যের শেষের দিকে তার পাশ থেকে অন্য কেউ ‘জয় বাংলা’ বলেছিলেন। 

হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেছেন, “আমাদের সিনিয়র নেতাদেরকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। আবুল বাশার ভাই আমাদের সিনিয়র নেতা। বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে বলায় তিনি ‘জয় হোক, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক’ এ কথা বলতে গিয়ে ভুলবশত ‘জয় বাংলা’ বলে ফেলছেন। তবে, উনি তো ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলেননি। মানুষ মাত্রই ভুল করে। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেননি।” 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দমন- পীড়ন চালিয়েছিল। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার কিছু দোসর দল পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। আবুল বাসার ফুল মিয়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছিলেন। বিএনপির সমাবেশে তার এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, “বিএনপির কোনো নেতাকর্মী নিষিদ্ধ স্লোগান দিতে পারবে না। সংগঠনের নিয়মবহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ জড়ালে, সে যে-ই হোক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/সুজন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ