অগ্নি নির্বাপণে বিশেষ অবদান রাখায় পুরস্কার পেলেন ওয়ালটনের গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের কর্মকর্তারা।   সম্প্রতি তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়। 

গত বছরের ১৮ নভেম্বর ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতাধীন গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের ভবনে ইলেকট্রিক শট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ওই সার্ভিস পয়েন্টে কর্মরত কর্মীরা বিচক্ষণতার সঙ্গে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের এই পদক্ষেপের কারণে  প্রাণহানী ও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। 

অগ্নি নির্বাপণ ও দুর্ঘটনা রোধে গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের কর্মীদের বিচক্ষণতা ও দায়িত্বশলতার কারণে তাদের সবাইকে বিশেষ প্রশংসাপত্র ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করে ওয়ালটন কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট। 

গত ২৮ জানুয়ারি ওয়ালটন ওয়ালটন কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের চিফ সার্ভিস অফিসার মো.

নিয়ামুল হক, হেড অব ইনভেস্টিগেশন ম্যানেজমেন্ট অরুপ সাহা, ইনভেস্টিগেশন ম্যানেজমেন্ট প্রতিনিধি রুহুল ইসলাম রনি, হেড অব ইএইচএস (সিএসএম) মো. মাহমুদুর রহমান, ডিভিশনাল সার্ভিস অফিসার মনিসংকর সিকদার উপস্থিত থেকে গৌরীপুর সার্ভিস পয়েন্টের কর্মরত সবার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।

ঢাকা/আকরাম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুরস্কে আরো ৩ এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি রাশিয়ার

কুরস্কে ইউক্রেনের দখলে থাকা আরো তিনটি এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে রাশিয়া। সাত মাস ধরে ইউক্রেনের দখলে থাকা কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া এবং সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সোমবার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কুরস্কের সুদজা শহরের কাছে তিনটি এলাকা রুশ বাহিনী পুনরুদ্ধার করেছে। 

আরো পড়ুন:

ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়াকে সামলানো সহজ: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে: ইউক্রেন

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, রাশিয়ার সেনা কুরস্ক থেকে ইউক্রেনের সেনাকে পিছনে পাঠাচ্ছে।

রুশপন্থি সামরিক ব্লগার ইউরি পোদোল্যাকা জানিয়েছেন, রুশ বিশেষ বাহিনী একটি সরু গ্যাস পাইপলাইনের ভিতর দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার অগ্রসর হয় এবং সেখানে কয়েক দিন অবস্থান করে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে চমকে দিয়ে সুদজা এলাকায় আক্রমণ চালায়।

আরেক রুশপন্থি ব্লগার টু মেজর্স জানিয়েছেন, সুদজা এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষ চলছে। সেখানে রুশ বাহিনী গ্যাস পাইপলাইনের পথ ব্যবহার করে আকস্মিকভাবে ইউক্রেনীয় সেনাদের ওপর আঘাত হানে।

গত বছরের আগস্টে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় এক হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়। ভবিষ্যতের আলোচনায় দর কষাকষির সুযোগ লাভের জন্য এবং রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য করার একটি প্রচেষ্টা ছিল এটি।

রাশিয়া সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কিছুটা সাফল্যের সাথে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ওপেন সোর্স মানচিত্রে দেখা গেছে, দ্রুত রুশ অগ্রগতির পর কুরস্কে কিয়েভের সেনাদের প্রায় ঘিরে ফেলা হয়েছে।

২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকে তীব্র বাদানুবাদ হয়। এরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সাথে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ করে দেয়। এই সুযোগে রাশিয়ার সেনাদের ইউক্রেনীয়দের ওপর আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

রাশিয়ার ব্লগারদের রিপোর্ট বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে আলোচনায় বসার আগে কুরস্ক থেকে ইউক্রেনের সেনাকে সরাতে চাইছে রাশিয়া।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ