বনশ্রীতে শিশুকে পিটিয়ে হত্যা, মা গ্রেপ্তার
Published: 1st, February 2025 GMT
ঢাকার বনশ্রীতে আয়না নুর ইসলাম (৪) নামে এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তার মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুলজার হোসেন স্বজনদের বরাত দিয়ে রাইজিংবিডিকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী আতিকুল ইসলামের কাছে তাসনিয়া টাকা চান নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার জন্য। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় মেয়ে আয়না নুরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে অচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকে শিশুটি। এ সময় পাঁচ মাসের ছেলে সন্তানকেও চর থাপ্পর মারেন। পরে স্বজনরা আয়নাকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ওই শিশুর বাবা আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় তাসনিয়া চৌধুরীকে আসামি করে মামলা করেন। পরে তাসনিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’