বিএনপি-জামায়াতকে কড়া হুঁশিয়ারি ছাত্রশিবিরের
Published: 1st, February 2025 GMT
বিএনপি ও জামায়াতকে কড়া হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের নেতারা। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের নেতারা বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে সতর্ক করছি, আপনারা কোনো সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হলে যে সুপারিশ করেন, এটা বন্ধ করেন। আপনাদের পক্ষ থেকে কোনো সন্ত্রাসীর পক্ষে সুপারিশ করা আমরা আশা করি না।
গতকাল শুক্রবার ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতিসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিবিরের নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, আমরা কোনো দলের এ রকম নমনীয়তা প্রত্যাশা করি না। আপনাদের নমনীয়তার কারণে, আপনাদের সুশীলতার কারণে অন্তর্বর্তী সরকার একটা নির্বাচনের সরকার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বিপ্লবী সরকার হচ্ছে না। আমরা আপনাদের বিপ্লবী সরকার হিসেবে দেখতে চাই।
এদিন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের পূর্ব গেট থেকে জুমার নামাজের পর গণমিছিল শুরু করে ছাত্রশিবির। মসজিদের সামনে থেকে লালদিঘী, কোতোয়ালি মোড় হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ আপন দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’