পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন মির্জাগঞ্জ ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটির (২০২৫-২০২৬) সালের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংগঠনের এক সভায় প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামকে সভাপতি ও প্রকৌশলী সুশান্ত সাহাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়। 

এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী নাসের ফয়সাল। 

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহ- সভাপতি প্রকৌশলী মো.

আবু সালেহ মূসা, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মো. আল আমিন হোসাইন, প্রকৌশলী মো. ইব্রাহিম খাঁন, প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন,  প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ রাফি, প্রকৌশলী মো. রাসেল খান সুজন, প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম ইউনুস, প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া ও প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসাইন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহীন, প্রকৌশলী মো. আতিক উর রহমান, প্রকৌশলী মো. রাকিব ফকির, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. রুবেল খান, প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম শাওন, অর্থ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আরিফ মোল্লা, দফতর সম্পাদক প্রকৌশলী সুজয় দাস, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. তারিকুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম রাজু, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আফ্রিদি, সহ-প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী কাওসার হোসাইন, কল্যাণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মারুফুল হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলাম রাব্বি, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী রাহাত শিকদার, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক স্থপতি মো. তারিকুল ইসলাম, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মিরাজুল ইসলাম, সহ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন,  কার্যকরী সদস্য প্রকৌশলী মো. নাদিম মাহমুদ, প্রকৌশলী এইচ এম মেহেদী হাসান রানা, প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম অপু, প্রকৌশলী মো. রিয়াদ খান ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দীক, প্রকৌশলী সৈয়দ রাশেদুল হাসান রেজা, প্রকৌশলী সুমন মিয়া পলাশ ও স্থপতি মো. ইমাদুল হক প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম স গঠন গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

দিনে খাবারের দোকান বন্ধ রাখতে হুঁশিয়ারি, দুর্ভোগ

রমজানের ‘পবিত্রতা’ রক্ষায় দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনে খাবারের দোকান খোলা রাখায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কঠোর সমালোচনা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। নিরাপত্তার কথা ভেবে এসব জায়গায় দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অসুস্থ ব্যক্তি, শিশু ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা। ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর বাজারে রমজানে দিনে হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখলেই ৩ হাজার টাকা জরিমানার ঘোষণা দিয়ে নোটিশ দিয়েছে স্থানীয় বণিক সমিতি। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত  বাজারের হোটেল-রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ছেংগারচর পৌর সমবায় সমিতি। আদেশ অমান্যকারীদের জরিমানা করা হবে।

নোটিশে সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান লস্করের স্বাক্ষর রয়েছে। একই রকম আদেশ জারি করেছে উপজেলার সুজাতপুর বাজারের বণিক সমিতি। তবে এই বাজারে খাবারের দোকান খোলা রাখলে জরিমানা হবে ১ হাজার টাকা। 

ছেংগারচর  পৌর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানগুলো বন্ধ। চর অয়েস্টার থেকে ছেংগারচর বাজারে চিকিৎসা নিতে আসা রহমত মিয়া (৬৫) খাবার খেতে গিয়ে দেখেন, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ। তিনি বলেন, রোগীর জন্য এটা খুব কষ্টকর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেস্তোরাঁ ও চা ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসা বন্ধ থাকায় রোজগার বন্ধ। এবার ঈদ করা তাদের জন্য কষ্টকর হবে। ছেংগারচর পৌর বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল মান্নান দোকান বন্ধের আদেশ এবং জরিমানার নির্দেশনা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, ‘বিষয়টি জানি না। বণিক  সমিতির সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারব।’

এদিকে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এতে দেখা যায়, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় হাজী শরীয়তুল্লাহ সমাজকল্যাণ পরিষদের প্রতিনিধি ও হাজী শরীয়তুল্লাহর বংশধর পীরজাদা হানজালা রমজান মাসে দিনে খাবারের দোকান খোলা রাখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। রমজান শুরুর আগে তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।  ভিডিওতে হানজালাকে বলতে শোনা যায়, ‘রমজানের হেফাজত করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। এ জন্য রমজান মাসকে কেন্দ্র করে শিবচরের ১৯টি ইউনিয়নে হাজী শরীয়তুল্লাহ সমাজকল্যাণের লোকজন কাজ করবে। এটা বাংলাদেশ, এটা ভারত নয়, মনে রাখতে হবে। রমজান মাসে সকালে চায়ের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ খোলা থাকবে– এটা হতে পারে না। তার সঙ্গে এটা হাজী শরীয়তুল্লাহর মাটি। এখানে এ কাজ হতে পারে না, হতে দেওয়া হবে না।’ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি আপনাদের দোকান দিনে বন্ধ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমাদের নেতৃবৃন্দ দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হবে।’ তিনি নারীদের ‘বেপর্দায়’ বাজারে ঘোরাফেরা করতে নিষেধ করেন।

এ বিষয়ে হানজালা সমকালকে বলেন, ‘রমজান সিয়াম সাধনার মাস। এ মাসে যদি কেউ দিনে চা-সিগারেট বা অন্য কিছু খায়, বিষয়টা অনেক দুঃখজনক।’ এই ঘোষণায় অন্য ধর্মের মানুষরা বিপাকে পড়বেন কিনা– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্য ধর্মের যারা আছেন, তারা তাদের মতো করে চলবেন, তাদের মতো করে খাবেন। আমার বার্তা ছিল মুসলমানদের প্রতি। তারা যেন এ মাসে বেহায়াপনা না করেন।’ বেহায়াপনা বলতে কী বুঝিয়েছেন তা জানতে চাইলে বলেন, অন্যান্য মাসে চায়ের দোকানে আড্ডা কিংবা বেহায়াপনা চলে। এটা বন্ধে কথা বলেছি।

এ বিষয়ে শিবচরের ইউএনও পারভীন খানম বলেন, কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর মাধ্যমে এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়ী অভিযোগ করেননি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন মতলব ও শিবচর প্রতিনিধি)

সম্পর্কিত নিবন্ধ