ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ জানুয়ারি) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই ও সিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৯১৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৩.

৬৩ পয়েন্ট বা ১.০৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১১২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৯.১৯ পয়েন্ট বা ০.৪৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২৭.৮৭ পয়েন্ট বা ২.৪০ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৮.৬৪ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২৩৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৯৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৬৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, দর কমেছে ২৭২টির ও দর অপরিবর্তিত ২৬ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৭টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৪.৯৭ পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৮০ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৮৬৮ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স ১.০৯ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৭০০ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৭৬ শতাংশ কমে ৯২৩ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.৪২ শতাংশ কমে ২ হাজার ৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৩ হাজার ১৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ৪৬৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৬৭৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২১ কোটি ৫২ লাখ  টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৫০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৯টির, দর কমেছে ১৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন ম লধন ব ড় ছ স এসইত আর ব দ স এসই ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির দরপতন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২১ এপ্রিল) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। দিন শেষে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্র জানিয়েছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৯.৫২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৪ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮.৮৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১২৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০৩টি কোম্পানির, কমেছে ২৩৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৫৯ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৫১ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৫.২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৬২২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬২.৬৮ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৬.৩৮ পয়েন্ট কমে ৯২৩ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ২৯.১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৮৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৭টি কোম্পানির, কমেছে ১১৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির।

সিএসইতে ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এসএমই খাত শুধু ব্যবসা নয়, দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড: শিল্প উপদেষ্টা
  • পুঁজিবাজারে টানা দরপতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
  • এসএমই ও মাইক্রোফাইন্যান্স খাতে সিটি ব্যাংকে দুজন নতুন ডিএমডি
  • পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত, বিক্ষোভের ডাক
  • পাঁচ বছর মেয়াদের নতুন ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু
  • বাংলাদেশের ই-কমার্স: কোথায় আছি, কোথায় যেতে চাই
  • পুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির দরপতন
  • যমুনা ব্যাংকের ২৪% লভ্যাংশ ঘোষণা, ছাড়বে বন্ড