আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা কারণে চাকরিচ্যুত ১ হাজার ৫২২ পুলিশ সদস্য চাকরি ফিরে পেতে পুলিশ সদরদপ্তরে আবেদন করেছেন। ইতোমধ্যে এসব আবেদন পুলিশ সদরদপ্তরে গৃহীত হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে কনস্টেবল ১ হাজার ২৫ জন, নায়েক ৭৯ জন, এএসআই ও এটিএসআই ১৮০ জন, এসআই-সার্জেন্ট ও টিএসআই ২০০ জন, পরিদর্শক ১০ জন ও সিভিল স্টাফ ২৮ জন রয়েছেন। শুক্রবার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, আবেদনগুলো পর্যালোচনার জন্য একজন ডিআইজির নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কাজ করছে। এগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ফৌজদারি অপরাধ, আর্থিক দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনজনিত, আচরণগত ও বিভাগীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে চাকরিচ্যুত হয়েছেন বা অনেকের আবেদন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ও প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের অধীনে বিচারাধীন রয়েছে, এমন বিষয়গুলো দেখবে গঠিত কমিটি।

চাকরি হারানো এসব পুলিশ সদস্য চাকরি ফিরে পেতে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করছেন। তাদের ‘জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী’ কর্মসূচি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই

ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে। 

এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। 

বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন। 

এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন। 

এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের রাস্তা অবরোধ না করার আহ্বান সদর দপ্তরের
  • ‘আসামি ছিনতাইয়ে জড়িত নই’ দাবি বিএনপি নেতার
  • গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার পর সকালে যুবদল নেতার মৃত্যু, শরীরে আঘাতের চিহ্ন
  • ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
  • হবিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
  • পুনর্বহাল চেয়ে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা রাস্তায়
  • চুরির অপবাদে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
  • বান্ধবীকে জন্মদিনের উপহার দিতে পিস্তল নিয়ে জুতা চুরিতে শিক্ষার্থী