পঞ্চগড়ে সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টার অভিযোগে এক দালাল ও শিশুসহ তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি। শুক্রবার গভীর রাতে পঞ্চগড় উপজেলা সদরের সাতমেরা ইউনিয়নের মুহুরীজোত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪২ এর ৯ নং সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন তারা। গভীর রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের আলমপুর গ্রামের শ্রী নিতাই চন্দ্র রায় (৩৫), তার সাত বছরের মেয়ে শ্রী ভূমি রানী শ্রেয়া এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার শিবচন্ডি এলাকার সাদ্দাম (৩০) হোসেন। সাদ্দাম হোসেন তাদের অবৈধপথে ভারত যেতে সহায়তার চেষ্টা করেন। 

বিজিবি জানায়, নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার মাগুরমারী বিওপির সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে কাঁটাতারের বেড়া কাটার একটি প্লাস, দুটি মোবাইল ফোন, এক জোড়া রুপার নুপুর এবং নগদ ২০ হাজার ১৬০ টাকা জব্দ করা হয়। চোরাচালানকারি ও দালাল সাদ্দাম হোসেন ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করেন বলে জানায় বিজিবি।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবির অধিনায়ক লে.

কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, আটক ব্যক্তিদের থানায় সোপর্দ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া চলছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালানসহ সীমান্তে যেকোনো অপতৎপরতা ঠেকাতে বিজিবি সজাগ রয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ