পাপড়ি রহমান একাধারে কথাশিল্পী, সম্পাদক, গবেষক এবং অনুবাদক। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেছেন ‘খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’। ২০২৫ বইমেলায় পাপড়ি রহমানের একটি উপন্যাস এবং একটি গল্পের বই প্রকাশ হচ্ছে। নতুন বইয়ের প্রেক্ষাপটসহ নানা বিষয় নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন পাপড়ি রহমান। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি।

রাইজিংবিডি: বইমেলা ২০২৫ প্রকাশতিব্য উপন্যাস ' ঊষর দিন, ধূসর রাত'—এর প্রেক্ষাপট জানতে চাচ্ছি।
পাপড়ি রহমান:
যারা আমার পাঠক, তারা কিন্তু জানেন যে, আমি প্রান্তিক জনজীবন নিয়েই লিখি বা লিখতে ভালোবাসি, স্বচ্ছন্দ বোধ করি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন বরাবরই। অধ্যাপক ড.

আকরম হোসেন একদিন বললেন যে, তুমি সারাজীবন শহরে বসবাস করলে, তোমার কলমে একটা নাগরিক উপন্যাস চাই। তুমি কি লিখবে না নাগরিক জীবন নিয়ে? অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরীও আকরম স্যারের কথায় সায় দিলেন। সেই থেকে শুরু হলো আমার প্রস্তুতি। কিন্তু বড় কঠিন ছিল এই কর্ম। কী লিখব আমি? যে সময়ে আমি লিখতে শুরু করলাম এই উপন্যাস,  তখন তো কারোর বাক স্বাধীনতাই নেই। গণতন্ত্রের নামে চলছে সার্কাস। গুম-হত্যা-খুন আর একনায়কের স্বেচ্ছাচার। এসবের মাঝে ঢাকা শহরের মানুষ, তাদের টানাপোড়েন, মনস্তত্ত্ব, রাজনীতি, কুটনীতি, নিউক্লিয়ার ফ্যামেলিগুলির তীব্র ক্রাইসিস, ভেঙেপড়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে লড়াই এসব নিয়ে লেখা বড় মুশকিল ছিল। তবুও যতোটা এবস্ট্রাকট ফর্মে লেখা যায়, লিখতে শুরু করলাম। টানা দুই বছর লিখে গেলাম। তারপর একবছর ক্রমাগত কাটাছেঁড়া করতে করতে জুলাই বিপ্লবের আগে শেষ হলো লেখা। এবং এ বছর বইটা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রকাশ করলো ‘বেঙ্গল পাবলিকেশন্স’।
আমি চেষ্টা করেছি অন্যরকম জীবন নিয়ে লিখতে। রাজনৈতিক বিষয়াদি অত স্পষ্ট করে বলা না গেলেও টাচ করে গিয়েছি। ইঙ্গিত দিয়েছি। মানুষের মনের চেতনার গভীর স্তরগুলি অনুসন্ধান করতে চেয়েছি। জানিনা কী পেরেছি, কতোটা পেরেছি? আমার পাঠক ও শিক্ষকেরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে এটা নিশ্চিত করে বলছি, এই ঢাকাশহরের বাস্তব জীবনের গল্পগুলোই বলার চেষ্টা করেছি আমি। পাঠক, প্রতিটি চরিত্রকে চিনতে পারবেন। একই সঙ্গে চমকেও উঠবেন হয়তো । 

রাইজিংবিডি: 'হেমন্তের দিনে' গল্পগ্রন্থটি কী ধরনের গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে। 
পাপড়ি রহমান:
আমি চাই পাঠক আমার লেখায় ডাইভার্সিটি খুঁজে পাক। গত ৫ বছরে লেখা ৫ গল্প আর ৯৫/২০০১/২০০৩ এর তিনটি গল্প মোট ৮ গল্প নিয়ে এ বই। মুক্তিযুদ্ধের গল্প আমি খুব অল্প লিখেছি। কারণ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ভেবেচিন্তে ও যত্ন নিয়ে লিখতে হয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য যেমন গৌরবের, তেমনি খুবই সেনসেটিভ ইস্যু। এই বইতে একটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প আছে। প্রেম ও প্রতারণার গল্প আছে। ঢাকাশহরের ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের গল্প আছে। প্রকৃতির নির্মম প্রতিশোধের গল্প আছে। ৫ বছর বাদে প্রকাশিত হলো আমার নতুন কোনো গল্পগ্রন্থ। প্রকাশ করেছে ‘ঐতিহ্য’। 

আরো পড়ুন:

হাজারমুখীরা আমাদের চারপাশেই থাকে: কাজী লাবণ্য

‘বিশ্বের বিভিন্ন অনুবাদ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে আমরা পিছিয়ে আছি’

রাইজিংবিডি: আপনিতো গল্প এবং উপন্যাস দুই’ই লেখেন। একযোগে গল্প এবং উপন্যাস লেখার কাজ কীভাবে এগিয়ে নেন।
পাপড়ি রহমান:
হ্যাঁ, আমি গল্প ও উপন্যাসেই কাজ করি। এর বাইরে সম্পাদনাও করি। বা করেছি।কিন্তু কে বললো আমি একযোগে লিখি? উপন্যাস লিখবার সময় আমি অন্য যেকোন লেখা থেকে বিরত থাকি। বিরত থাকতে চাই। এই উপন্যাসটি আমার চতুর্থ উপন্যাস 'নদীধারা আবাসিক এলাকা' প্রকাশের ৬ বছর পর বেরুলো। আর গল্প নিয়ে তো বললামই। বই করার মতো গল্প গুছাতে বছর পাঁচেক লেগে যায়। তবে এ বছর মিরাকল ঘটলো,  আমার নতুন উপন্যাস ও নতুন গল্পের বই একই মেলায় প্রকাশিত হলো।

রাইজিংবিডি: আপনার গল্প সাধারণত গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠে, আপনার বেড়ে ওঠা শহরে, গ্রামকে এতো ভালো উপলব্ধি কীভাবে করতে পারেন?
পাপড়ি রহমান:
আমার শৈশব কিন্তু গ্রামে কেটেছে। মুক্তিযুদ্ধের আগের বছরগুলি। গ্রামের ওই মাটি আমাকে আজও টানে। বা মায়ামমতায় ভরা আমার দাদার বাড়ির পারিবারিক পরিবেশ। বা ওই পুকুর, গুল্ম, ধানক্ষেত, শীতকাল মানেই পিঠাপুলির ধুম। সেই পিঠা শরীকদের সবার ঘরে পৌঁছে দেওয়া। তবে গ্রাম বা শহর এখানে ফ্যাক্টর নয়, ফ্যাক্টর হলো আমি নিবিড় পর্যবেক্ষণ ছাড়া কিছুই প্রায় লিখিনা। বা লিখতে পারিনা। এটা আমার এক ধরনের সীমাবদ্ধতাও বলতে পারো।

রাইজিংবিডি: অনেকেই বলেন পাপড়ি রহমানের বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া উচিত, ‘না প্রাপ্তি’ কে কীভাবে দেখেন?
পাপড়ি রহমান:
কোনো পুরস্কার কি উত্তম সাহিত্য সৃষ্টি করে? নাকি উত্তম সাহিত্যকে পুরস্কৃত করা হয়? পুরস্কার যদি উত্তম সাহিত্য সৃষ্টিতে অবশ্যম্ভাবী না হয়, তাহলে একজন লেখকের জন্য পুরস্কারের প্রয়োজন কী? এখানে কে ধন্য হয়? লেখক নাকি পুরস্কার?  কত নোবেল লরিয়েট, কত রাস্ট্রীয় পুরস্কার বাহকেরা তল্পিতল্পাসহ কে কোথায় হারিয়ে গেল, তার ইয়াত্তা নেই। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে টেক্সটই তো, নাকি? পাঠক পুরস্কার মনে রাখে না, মনে রাখে একজন লেখকের কাজ। কবি জীবনানন্দ দাশ কয়টা পুরস্কার পেয়েছিলেন? কথাসাহিত্যিক শহীদুল জহির মৃত্যুর আগে পুরস্কৃত হননি, কিন্তু পুরস্কারের না পাওয়ার কারণে কি উনার লেখা থেমে ছিল? বা উনার লেখার মান ক্ষুন্ন হয়েছিল? ‘ডলু নদীর হাওয়া’ বা ‘ডুমুর খেকো মানুষ’এর কথা সাহিত্যপ্রেমীরা আজীবন স্মরণ রাখবে। তবে আরেকটি কথা, আমাদের এখানে পুরস্কার পাওয়ার জন্য যে যে যোগ্যতা লাগে, তা বোধ করি আমার নেই। এবং এই  'না প্রাপ্তি' কিন্তু এক ধরনের প্রাপ্তিই। এই 'না প্রাপ্তির' জন্যই হয়তো মনে হয়, লাইফ ইজ রিয়েলি বিউটিফুল। 

রাইজিংবিডি: বাংলাদেশের ছোটগল্প সম্পাদনা করেছেন আবার এলিস মানরোর ছোটগল্পও সম্পাদনা করেছেন। হাসান আজিজুল হক, মানিক বন্দোপাধ্যায়দের গল্পকে দেখিয়েছেন মানরোর গল্পের সমান্তরালে। তার অর্থ দাঁড়ায় বাংলাদেশের ছোটগল্পের মান কোনো অংশেই কম নয় কিন্তু বিশ্ব দরবারের নানাভাষী পাঠকদের কাছে উল্লেখযোগ্যভাবে পৌঁছাতে পারছে না কেন?
পাপড়ি রহমান:
এটা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছি। বিদেশি সাহিত্যের তুলনায় বাংলাসাহিত্যের মান কোনোভাবেই নগন্য নয়। কেন বা কীভাবে পৌঁছাবে আমাদের লেখা বিশ্বের কাছে? যদি সেভাবে অনুবাদ না হয়? অনুবাদে জোর দিতে হবে। বাংলা একাডেমি কি করে এ বিষয়ে? আমাদের ক্ল্যাসিকগুলি উত্তম অনুবাদে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেয়াটা বাংলা একাডেমির দায়িত্বের মাঝেই পড়ে। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি বই ছাড়া তেমন কোনো অনুবাদের কথা তো শুনিনি। বা দেখিনি। 

রাইজিংবিডি: প্রকাশনীগুলির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? কোন কোন প্রকাশক ঠিকঠাকমতো রয়্যালিটি প্রদান করেছেন?
পাপড়ি রহমান:
এ ক্ষেত্রে মিশ্র  অভিজ্ঞতা আছে। কেউ কেউ সঠিক তথ্য গোপন করে বলেন, আপনার বই তো চলেই না। ১৭ বছর ধরে প্রথম মুদ্রণের বই-ই উনারা দেদারসে বিক্রি করছেন। লামছাম রয়্যালিটি বুঝিয়ে দিয়ে বাকী বইয়ের হিসাবই আর দেননি আমাকে। বা দ্বিতীয় মুদ্রণ বা তৃতীয় মুদ্রণ এটা জানানো দূরে থাকুক।আবার কোনো কোনো প্রকাশক বাসায় এসে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে সম্মানী দিয়ে গেছেন। কেউ কেউ বলছেন, আপা, এই বইটিও শেষ হবার পথে, দ্বিতীয় মুদ্রণে যেতে হবে অচিরেই। একটা বইয়ের দ্বিতীয় বা তৃতীয় মুদ্রণ কি লেখক ও প্রকাশকের জন্য আনন্দের নয়? তাহলে অযথা এসব কারচুপির মানে কী? আর একজন লেখককে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে। লেখকের প্রাপ্য পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে হবে। তেমনি একজন লেখকও তার প্রকাশককে সম্মানিত মনে করবে।বিষয়টি কিন্তু পারিবারিক বন্ধনের মতো হওয়া উচিত। কিন্তু এই প্রকাশনার জগত আজব ভেলকির জায়গা। অন্য সবকিছুর মতো দলাদলিটাও এখানে ভালোভাবেই চলে। বা লেগপুলিং। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকেই এমন বলছি। 

রাইজিংবিডি: কেমন বইমেলা চান?
পাপড়ি রহমান:
বইমেলা যেন বইমেলাই হয়, বাণিজ্য মেলা না হয়ে ওঠে। ধুলাবালি মুক্ত, নতুন বই আর নতুন লেখকদের ভিড় আর প্রাণচাঞ্চল্য ভরপুর মেলা চাই। নতুন লেখক, নতুন লেখা না এলে চলবে নাকি? আমাদের জীবন তো সায়াহ্নে পৌঁছে গেছে। আর আমি কিছুই কুক্ষিগত করে রাখতে চাইনা। রাখিনি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমার মুক্তি আলোয় আলোয়, এই আঁধারে। 
একেবারে সদ্য তরুণটির উজ্জ্বল মুখচ্ছবি মেলায় দেখতে চাই। তরুণদের লেখা বিমুগ্ধ হয়ে পড়তে চাই। এতসব প্রশ্ন করে আমাকে অনেক কথা বলতে দেওয়ার জন্য তোমাকে আন্তরিক ভালোবাসা ও ধন্যবাদ জানাই।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপন য স কর ছ ন র জন য জ বন ন বইম ল রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়মের খোঁজ নেওয়ায় সাংবাদিকের চাকরি খাওয়ার হুমকি বেরোবি কর্মকর্তা

অনিয়মের খোঁজ নিতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

সোমবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অফিসে এ হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার নাম রোকনুজ্জামান রোকন।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ইনস্টিটিউটে মোট সাতজন কর্মকর্তা ও একজন কম্পিউটার অপারেটর ও একজন এমএলএসএস কর্মরত আছেন। সরোজমিনে গেলে, রবিবার অফিস শুরুর পর বেলা সাড়ে ৯টায় ও বিকেল ৩টায় একজন কর্মকর্তা ছাড়া বাকি কাউকে অফিসে পাওয়া যায়নি। পরের দিন সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় দুই-তিনজনকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তবে তারা সাংবাদিকদের দেখে একত্রিত হয়ে চড়াও হন। 

এ সময় কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান রোকন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলেন, “আপনারা এসব দেখা-শোনার কে? আপনারা যারা সাংবাদিক আছেন, তাদের এই রিসার্চ ইনস্টিটিউটে আসা নিষেধ। আপনাদের যা কিছু বলার আমাদের পরিচালক উপাচার্য স্যারকে বলবেন।”

তিনি আরো বলেন, “শিক্ষকরা দুই একটা ক্লাস নিয়ে সেমিস্টার শেষ করে দেয়। আপনারা এসব দেখেন না, আর আমাদের নিয়ে পড়ে আছেন। শিক্ষকেরা অনিয়ম, দুর্নীতি করে টাকা ভাগাভাগি করে- এগুলো আপনাদের চোখে পড়ে না? আপনারা শিক্ষা জীবন শেষ করে সাংবাদিকতা করতে আসবেন।”

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব খেয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তিনি তার অন্যান্য সহকর্মীদের বলেন, “ডেইলি ক্যাম্পাসের সম্পাদকের নাম্বারটা বের করেন। আর শহরে সাংবাদিকদের সাথে আমাদের ভালো পরিচয় আছে।” 

তিনি সাংবাদিকদের একজনকে জিজ্ঞেস করেন, “আপনি কোন পত্রিকায় কাজ করেন?” উত্তরে ওই সাংবাদিক নিজেকে ‘আমার দেশ পত্রিকা’র পরিচয় দিলে তিনি বলেন, “মাহমুদুর স্যারের সাথে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, “এ ইনস্টিটিউটের দুই-একজন বাদে কেউই নিয়মিত অফিস করেন না। এছাড়া তারা গবেষণায়ও মনোযোগী না। বেশিরভাগই ব্যক্তিগত কাজে সময় দেন।”
অফিস ফাকি দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, “প্রশাসন শক্তিশালী নয়। এটা মূলত প্রশাসনের বিষয়।” তবে সাংবাদিকদের চাকরি খাওয়ার হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।তবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, “কর্মকর্তা, কর্মচারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ আমরা এর আগেও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দিতে হবে।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোশাররফ-তানিয়ার ‘খুচরা পাপী’
  • আমাকে ফাঁসাতে একটা হত্যা মামলাই যথেষ্ট: ফারজানা রূপা
  • নির্মাতার সঙ্গে ‘গোপনে বিয়ে-সংসার’ নিয়ে মুখ খুললেন নায়িকা
  • নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল 
  • নতুন একজন উপদেষ্টা হচ্ছেন, দায়িত্ব পেতে পারেন শিক্ষায়
  • রাজশাহীর গ্রামে গ্রামে ঋণের দায় মাথায় নিয়ে কেউ ঘরছাড়া, কেউ নিঃস্ব
  • ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করে কী চাইছেন ট্রাম্প
  • এখন ঢাকার সাত কলেজ চলবে ইউজিসির অধীন সমন্বিত কাঠামোর আওতায়
  • শাহজাদপুরে আগুনে নিহত চারজনের মরদেহ ঢামেকে
  • অনিয়মের খোঁজ নেওয়ায় সাংবাদিকের চাকরি খাওয়ার হুমকি বেরোবি কর্মকর্তা