দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
Published: 1st, February 2025 GMT
ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে মধ্যরাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে কুয়াশার কারণে এ নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। রাত ১২টার দিকে কুয়াশা তীব্র আকার ধারণ করলে চ্যানেলের বিকন বাতি এবং মার্কিং পয়েন্টের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীরে হামলার আন্তর্জাতিক তদন্ত চান পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ
ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। এ হামলার ঘটনার পর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পেহেলগামে ২২ এপ্রিল সশস্ত্র গোষ্ঠীর চালানো ওই হামলাকে ২০০০ সালের পর কাশ্মীর অঞ্চলে সবচেয়ে ভয়াবহ সশস্ত্র হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন পর্যটক। কম পরিচিত সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এ ঘটনার পর পারমাণবিক শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত একতরফাভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি (আইডব্লিউটি) স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শিমলা চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা ভারতের উড়োজাহাজের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
হামলাকারীদের আন্তসীমান্ত যোগসূত্র রয়েছে বলে ভারত অভিযোগ তুলেছে। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগকে জোরালোভাবে নাকচ করে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান ‘যেকোনো আন্তর্জাতিক তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত’।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, ভারত এ হামলাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে আইডব্লিউটি চুক্তি স্থগিত করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায় তারা। তাঁর ভাষায়, ‘ভারত কোনো প্রমাণ ছাড়াই, কোনো তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
খাজা আসিফ আরও বলেন, ‘আমরা এ যুদ্ধকে আরও উসকে দিতে চাই না। কারণ, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে এ অঞ্চলের জন্য তা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।’
ভারতের অভিযোগের জবাবে আসিফ বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়্যেবা (এলইটি) এখন ‘অকার্যকর’ এবং পাকিস্তান থেকে কোনো হামলা চালানোর সক্ষমতা তাদের নেই।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা পাকিস্তানে কোনো সংগঠন বা কাঠামো চালায় না। যারা রয়ে গেছে, তারা গৃহবন্দী বা হেফাজতে আছে। তারা একেবারেই সক্রিয় নয়।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া বক্তব্যে আসিফ দাবি করেন, ‘হামলাটি হয়তো ভারতেরই একটি ‘ছদ্মবেশী’ অভিযান।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারত এক দশক ধরে সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অজুহাত তৈরি করছিল। তারা এমন অজুহাত তৈরি করছিল, যা জুতসই ছিল না। এখন তারা এ ঘটনাকে সেই অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
অন্যদিকে স্কাই নিউজকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেন, ভারত পূর্ণমাত্রায় হামলা চালালে অবশ্যই এর জবাবে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ হবে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘাতের আশঙ্কায় বিশ্বের চিন্তিত হওয়া উচিত।