একপেশে লড়াইয়ে রংপুর রাইডার্স ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। টানা আট জয়ে রংপুরের মুখের হাসি ছিল চওড়া। সবার আগে নিশ্চিত করে প্লে’ অফ। অথচ সেই দলটাই পরের চার ম্যাচে এমন ভরাডুবি!
বিপিএলে এখন পর্যন্ত যে উন্মাদনা তা টিকে আছে রংপুর রাইডার্সের টানা চার হারের কারণে। আজ বিপিএলের রাউন্ড রবিন লিগের শেষ দিনের খেলা। রংপুরের ম্যাচ নেই। তবুও তারা পাখির চোখে পরখ করবে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের ম্যাচ। এই দুই দল রংপুরের পর প্লে’ অফ নিশ্চিত করে।
বরিশাল এখন টেবিল টপার। ১৮ পয়েন্ট তাদের। আজকের জয়-পরাজয়ে তাদের শীর্ষস্থান নড়াচড়া হবে না। চিটাগং কিংসের জন্য ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। আজ তারা জিতলে চলে দুই নম্বরে। খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে বরিশালকে। আর যদি চিটাগং হেরে যায় তাহলে রংপুর ও বরিশাল খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। চিটাগংকে খেলতে হবে এলিমিনেটর ম্যাচ।
খুলনা টাইগার্স আজ অলিখিত ফাইনাল খেলবে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। ঢাকা টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ দল। তারা আজ কেবল নিয়মরক্ষার ম্যাচে মাঠে নামবে। খুলনা টাইগার্স আজ জিতলে যাবে সেরা চারে। আর হেরে গেলে দুর্বার রাজশাহী যাবে প্লে’ অফে। রান রেটের হিসেবে তাদের কপাল আবার পুড়তেও পারে।
১১ ম্যাচে ৫ জয়ে খুলনার পয়েন্ট ১০। আজকের ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১২। সমান পয়েন্ট রাজশাহীর। তারা ১২ ম্যাচে ৬টি জিতেছে, ৬টি হেরেছে। খুলনার হারে তাদের সেরা চারে যাওয়ার সুযোগ হতে পারে। আর খুলনা জিতলে মিরাজ-আফিফ-নাঈমদের দেখা যাবে সেরা চারে।
পয়েন্ট তালিকার তিন ও চার নম্বর দল খেলবে এলিমিনেটর ম্যাচ। সেই ম্যাচে যারা জিতবে তারা যাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। পরাজিত দল বাদ পড়বে। আর প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দল খেলবে এলিমিনেটর ম্যাচ। বিজয়ী দল যাবে ফাইনালে।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিপিএলের পর্দা নামবে ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে। কার মুখে হাসি ফোটে সেটা দেখার জন্য আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন নয়, আগের সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে
সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশালের প্রান্তিক প্রতিনিধিরা বলেছেন, নতুন কোনো সংবিধান নয়, সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে আগের সংবিধানকে সংশোধন করা যেতে পারে। তবে সেটা করতে পারবে একমাত্র নির্বাচিত সংসদ।
গতকাল শনিবার বরিশাল নগরীতে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সুজন প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর বিষয়ে মতামত নিতে জেলা ও মহানগর সুজন এ বৈঠক আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। জেলা, উপজেলা ও মহানগর সুজন প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
সভায় অংশগ্রহণকারীদের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও সংবিধানের বিদ্যমান ব্যবস্থার কপি দেওয়া হলে তার ওপর আলোচনা করেন। ৯০ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। প্রায় সব আলোচক বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ন রেখে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
সুজনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এখন নতুন সংবিধান প্রণয়নের কথা বললে সেটা শপথ ভঙ্গের শামিল। সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিক সংসদ সদস্য হতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রীয় পদে থাকতে পারবেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা দ্বৈত নাগরিক। এমনকি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজও দ্বৈত নাগরিক। তাঁর নেতৃত্বে কমিশন বৈধ নয়।
তবে বানারীপাড়া সুজনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল বলেন, আগের দলীয় সরকারগুলোর ব্যর্থতার জন্য ইউনূস সরকারের আবির্ভাব হয়েছে। তাই তাঁর নেতৃত্বেই সংবিধান সংস্কার নিরাপদ হবে।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সারাদেশে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এসব যথাযথ স্থানে উপস্থাপন করা হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে।