বাসচাপায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৩ জনের
Published: 31st, January 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের তিন অটোরিকশা যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার মুলীবাড়ী চেকপোস্ট এলাকায় ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
যমুনা সেতু পশ্চিমপাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম সমকালকে জানান, যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মুলিবাড়ি চেকপোস্ট এলাকায় সন্ধ্যার পর ৬ জন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পুর্ব-বাঐতারা গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী মো.
ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বাসটিকে ও চালককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। শুক্রবার রাত পৌনে এগারোটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা নির্বাচন ব্যবস্থা চায় হিন্দু মহাজোট
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত এবং সংখ্যালঘু সমস্যার স্থায়ী সমাধানকল্পে জাতীয় সংসদসহ সবক্ষেত্রে আলাদা নির্বাচন প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার পাল। উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, দুলাল কুমার মণ্ডল, তরুণ কুমার ঘোষ, নিতাই দে সরকার প্রমুখ।
আলাদা নির্বাচন ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। যার মধ্যে হিন্দু ১০ শতাংশ এবং বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ২ শতাংশ। সংসদীয় আসন ৩৫০টি হলে সে অনুপাতে ৪২টি আসন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করে আলাদা নির্বাচন করতে হবে। এর মধ্যে ৩৮টি হিন্দুদের, তিনটি বৌদ্ধদের এবং একটি খ্রিষ্টানদের জন্য থাকবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায় বলেন, আলাদা নির্বাচন ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো দাবি নেই তাদের। এই দাবি না মানা হলে ভোট বর্জন করা ছাড়া সংখ্যালঘুদের সামনে আর কোনো উপায় থাকবে না।
লিখিত বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কমিটির প্রস্তাবে হিন্দুদের স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় গঠনমূলক সুপারিশ না থাকার প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘মাইনরিটি কার্ড’ এখন রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ট্রাম কার্ড’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে ভোট বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।