মানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক মোজাফফর হোসেন (৬৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলার আসামিরা এক মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসী। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গতকাল শুক্রবার মানববন্ধন করেন তারা। 
এদিন দুপুরের পর ঘিওর উপজেলার বৈলতলা গ্রামে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মোজাফফর হত্যার এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্টো আসামিরা বাদীপক্ষকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
নিহত ব্যক্তির স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, বৈলতলা গ্রামে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী আবদুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মোজাফফরের বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে রহমান বসতবাড়ির সীমানার খুঁটি তুলতে গেলে মোজাফফর বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রহমান ও তাঁর লোকজন লোহার রড দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। 
এ ঘটনার পরদিন নিহত মোজাফফরের ছেলে সালমান শাহ বাদী হয়ে ঘিওর থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে রহমানসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচর আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়। সালমান শাহ বলেন, মামলার এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মামলা তুলে না নিলে প্রধান আসামির আত্মীয়স্বজন তাদের মারধরের হুমকি দিচ্ছে। 
ঘিওর থানার এসআই চিন্ময় মণ্ডল বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এক ম স রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

বাড়ি নির্মাণের সময় চাঁদা দাবির অভিযোগে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাড়ির মালিক চৌহালী উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সহ-সভাপতি ওসমান আলী চলতি বছর (২১ জানুয়ারি) আদালতে পিটিশন মামলা করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আদালত থেকে আদেশের কপি আসেনি। আদেশের কপি আসলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ভুক্তভোগী ওসমান আলী বলেন, “যমুনা নদীর ভাঙনে পৈত্রিক বসতবাড়ি বিলীন হওয়ায় খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের কুরকি পূর্বপাড়ায় শ্বশুর বাড়ি থেকে প্রাপ্ত ২৭ শতক জায়গায় বেশ কিছুদিন আগে বসতবাড়ি করে বসবাস করছি। সম্প্রতি সেখানেই একটি টিনের ঘরের পাকা দেওয়াল নির্মাণ শুরু করেছি। এ অবস্থায় প্রতিহিংসার কারণে গত ১ জানুয়ারি সকালে ২০-২৫ জনকে সাথে নিয়ে এসে প্রতিবেশী জাহিদ মোল্লা ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তিনি জোরপূর্বক ৩টি সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত দেওয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। অমান্য করলে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি। এ অবস্থায় ২১ জানুয়ারি আদালতে পিটিশন মামলা করেছি।”

তিনি আরো বলেন, “বিয়ষটি জানার পর জাহিদ মোল্লা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। নিরাপত্তার অভাবে বর্তমানে অন্যত্র অবস্থান করছি, বাড়িতে যেতে পারছি না। পরিবারের লোকজন বাড়িতে আতঙ্কে বসবাস করছে। প্রায় ১ মাস যাবত নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।” 

বাদীর আইনজীবী ফরিদ আলম আলমগীর বলেন, “এ বিষয়ে চৌহালী আমলী আদালতে পিটিশন মামলা করা হয়েছে। মামলায় জাহিদ মোল্লাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।” 

এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা বলেন, “ওসমান আলী আদালতে মিথ্যা মামলা করে বাড়ি ছেড়ে এখন গাজীপুরে অবস্থান করছে। আমি তার কাছে কিসের চাঁদা চাইব। ওসমান নিজেই ১০০ থেকে ২০০ টাকা চাঁদা তুলে খায়। মিথ্যা মামলা করার কারণে এলাকার অনেকেই ক্ষেপে আছে। ওসমান বাড়িতে এলেই ধরবে।”

ঢাকা/রাসেল/ইমন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা