লিবিয়ায় হত্যার পর দু’জনের ছবি পাঠাল দালালরা
Published: 31st, January 2025 GMT
ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা হলেন– ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) এবং মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। হত্যার পর দালাল চক্র পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে লাশের ছবি পাঠায়।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে তিনি ছেলেকে বিদেশ পাঠান। ছেলেকে প্রথমে দুবাই, পরে সেখান থেকে সৌদি আরব হয়ে লিবিয়ায় নেওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘চার-পাঁচ দিন ধরে হৃদয়ের খোঁজ মিলছিল না। দালালরা শুক্রবার (গতকাল) দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল। ওই টাকা না দেওয়ায় তারা ভাইকে খুন করেছে।’
স্থানীয় ফয়সাল হোসেন বলেন, শুধু হৃদয় নন; রাসেল নামে আরও একজনকে লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। তিনিও কুমারখালী গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানব পাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। টাকা না দিলেই করা হয় অত্যাচার; এক পর্যায়ে মেরে ফেলে ওরা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাঈদীর মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি মেডিকেল কিলিং জানাতে হবে: মিজানুর রহমান আজহারী
ইসলামী বক্তা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল নাকি মেডিকেল কিলিং তা জানাসোর দাবি জানিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী শিরক-বিদআতের আস্তানা তছনছ করে দিয়েছিলেন। আজীবন ইসলামকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব কেঁদেছে। তার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল নাকি মেডিক্যাল কিলিং ছিল, তা আমরা এখনও জানি না। এখন বিষয়টি তদন্ত করে জাতির সামনে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।’
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্যারেড ময়দানে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত পাঁচদিন ব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের পঞ্চম দিনে প্রধান মুফাসসিরের আলোচনায় তিনি এই কথা বলেন।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে স্মরণ করে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বিনা অপরাধে জেলে বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুক।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম প্যারেড ময়দান বিশ্ব নন্দিত মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা সাঈদী বিজড়িত ময়দান। আমরা কোরআনের ছায়াতলে এক ও অভিন্ন। যেকোনো ভাবে আমাদের এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। মতবিরোধ নিয়েই আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। সব ধরনের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে যদি আমরা ঐক্য ধরে রাখতে পারি তাহলে দেশ থেকে দুর্নীতি, লুটপাট ও চাঁদাবাজি, গুম, খুন দূর করতে পারব। ১৬ বছরের জঞ্জাল ৬ মাসে দূর করা সম্ভব না, কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শামীম সাঈদী বলেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ১৩ বছর জেলে জালেম শাসকেরা শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। আমরা সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।’
ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাওলানা শামীম সাঈদী, বক্তব্য রাখেন মাওলানা বিএম মফিজুর রহমান, মাওলানা মুনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুজাহিদুল ইসলাম, বিআইএ জামে মসজিদের খতিব সাফওয়ান বিন হারুন আজহারী, অলি খাঁ মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক তাওহীদুল হক মিজবাহ।
মাহফিলে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবিরী আল মাদানী।