পোস্টারে ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’, লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের প্রতিবাদ
Published: 31st, January 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফেস্টুনের ওপর ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা,’ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ’ স্লোগানের পোস্টার সাঁটানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল।
লক্ষ্মীপুর ছাত্রলীগের অভিযোগ, এই কাজ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ করেছে। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। তবে সেখান থেকেই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন তিনি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী। মিছিলটি বাজার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান অভি, সদর (পূর্ব) ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বাবু। এ সময় বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিলে তারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে হুঁশিয়ার করে দলীয় বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ছাত্রদলের নেতারা বলেন, তাদের ধারণা- বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় লক্ষ্মীপুর কলেজ রোডে খুঁটিতে সাঁটানো প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফেস্টুনের ওপর শেখ হাসিনার ছবিসহ ‘জয় বাংলা’, ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ ‘আগেই ভালো ছিলাম’ ধরনের স্লোগানের স্টিকার লাগানো হয়। শুক্রবার তা সবার নজরে আসে।
ছাত্রদলের সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নামে দেয়ালে-দেয়ালে বিভিন্ন স্টিকার লাগানো হয়েছে। তাদের প্রতিহত করতে ছাত্রদলের নেতাকর্মী মাঠে রয়েছেন। তাদেরকে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে মাদারীপুর শহরের রাস্তার পাশের দেয়ালে দেয়ালে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি দেখা যায়। তাতেও লেখা হয়, ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’, ‘জয় বাংলা’ ধাঁচের স্লোগান। এ নিয়ে জেলাটিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনার পক্ষে ফেব্রুয়ারিতে হরতাল-অবরোধ ডেকেছে আওয়ামী লীগ। এরপরই মূলত বিভিন্ন জেলা থেকে তার পোস্টার, গ্রাফিতির খবর আসছে।
এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশ থেকে বিতাড়িত শেখ হাসিনার কথোপকথনের কয়েকটি অডিও ফাঁস হয়েছে, যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র ন ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’