Samakal:
2025-03-03@16:38:23 GMT

বইয়ের খবর জানানোর প্ল্যাটফর্ম

Published: 31st, January 2025 GMT

বইয়ের খবর জানানোর প্ল্যাটফর্ম

আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু বই। বাড়িতে, গাড়িতে, ভ্রমণে সঙ্গী থাকে বই। বই নিয়ে গল্প করতেও পছন্দ করি। বইবিষয়ক আলোচনা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়– সে চিন্তা থেকেই একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ার তাগিদ অনুভব করি। সেই চিন্তা থেকে শুরু হয় ‘অআকখ’-এর যাত্রা। আমাদের ট্যাগলাইন ‘বইয়ের খবর পাঠকের কাছে’। যেখানে বইপ্রেমীরা বই নিয়ে কথা বলবেন, তর্ক-আড্ডায় বইয়ের খবর পৌঁছে যাবে পাঠকের কাছে।
বইমেলায় স্টল কর্মীর কাজ করতে গিয়ে উপলব্ধি করি– লোকজন বই কিনতে চান। কোন বই কোথায় পাওয়া যাবে। কোন বই পড়া তাঁর জন্য ভালো হবে। আগে থেকে বুঝতে পারেন না। তখন বন্ধুদের আড্ডায় প্রসঙ্গ ওঠে, মেলায় এমন কিছু করা যেন পাঠক সহজে নিজের পছন্দের বইটি খুঁজে পান। এ কাজে সঙ্গী হন শেখ ফাতিমা পাপিয়া। 
গত বছর বইমেলায় আমরা তরুণ লেখকদের নিয়ে একটি বিশেষ আয়োজন করি। বইমেলায় যাদের প্রথম বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, তাদের বইয়ের গল্প এবং বই লেখার গল্প তুলে আনি। এতে অনেক লেখক উপকৃত হয়েছেন এবং তাদের বইয়ের কথা পাঠক জানতে পেরেছেন। তরুণ লেখক খুঁজে বের করা, যাচাই-বাছাই করা, ভিডিও সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং তা প্রচার করা– এ কাজ খুব একটা সহজ ছিল না। 
সাক্ষাৎকারের বাইরেও আমরা এক ধরনের আড্ডা সিরিজ আয়োজন করি মেলায়। গল্পে গল্পে বইয়ের কথা। লেখকের সঙ্গে পাঠক বই নিয়ে গল্প করবেন। প্রতিদিন একজন লেখকের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ করে তা প্রচার করতাম; যা মেলায় বেশ সাড়া ফেলে। তরুণ, প্রবীণ ও প্রসিদ্ধ– সব ধরনের লেখক নিয়ে এ বিশেষ আয়োজন আমরা করেছি ২০২৪ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। গত বছর বইমেলার ৩১ দিনে ৩১ জন লেখকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছি আমরা। একইসঙ্গে পাঠক এবং প্রকাশকদের কথা, বইমেলা নিয়ে তাদের প্রত্যাশার কথাও আমরা তুলে ধরেছি। প্রতিদিন বিভিন্ন বইয়ের তথ্য, বই নিয়ে আড্ডা, কোন বই কোথায় পাওয়া যাবে– এসব তথ্যসহ নানা বিষয়ে মেলার মাঠে আমাদের আয়োজন ছিল। প্রতিদিন প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, আগত দর্শনার্থীদের বই খুঁজে পেতে সহায়তা করা ছিল আমাদের নিয়মিত কাজ।  
গত বছর আমরা ঝোঁকের মাথায় কাজটি শুরু করেছিলাম। আমাদের আশপাশের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা ছাড়া এই বিশাল কার্যক্রম সফল করা সম্ভব ছিল না। আমাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন বিভিন্ন ক্যাম্পাসের অনেক তরুণ। আরও আছেন অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী- শুভানুধ্যায়ী। যারা শুরু থেকেই পাশে ছিলেন, তারা পরামর্শ দিয়েও নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। সেই সাহস নিয়ে গত বছরের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যকে সঙ্গী করে নতুন উদ্যমে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫-এ কাজ করবে ‘অআকখ’। বাংলা একাডেমির অনুমোদনক্রমে এ বছর একটি সাহিত্য মিডিয়া স্টল (সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২১৮ নম্বর স্টল) পেয়েছি আমরা। সাহিত্য মিডিয়া হিসেবে আমাদের যাত্রা ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছি। বাংলা সাহিত্যকে ঘিরে আমাদের এ যাত্রায় যারাই যুক্ত হতে চান, তাদের স্বাগত ও আমন্ত্রণ জানাই। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গত বছর বই ন য় দ র বই বইম ল বইয় র

এছাড়াও পড়ুন:

ঠিকাদার বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ২ প্রকৌশলীকে হুমকির অভিযোগ

খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগের বিরুদ্ধে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুই প্রকৌশলীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কুয়েটের একটি ভবনের ছাদের ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজে ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে লাভ আরও বেশি নির্ধারণের কথা বলেছিলেন ওই ঠিকাদার। এ নিয়ে প্রকৌশলীদের তিনি হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এ প্রেক্ষাপটে কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) মো. গোলাম কিবরিয়া সোমবার কুয়েট উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করে নিরাপত্তা চেয়েছেন। 

সূত্র জানায়, কুয়েটের ১৩ নম্বর ভবনের ছাদের ওপর ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজ নিয়েছেন মোল্লা সোহাগ। কাজটি কয়েকদিন আগে শুরু হয়। গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে ঠিকাদার সোহাগ প্রথমে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ বি এম মামুনুর রশিদ এবং অন্য নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন। গালাগাল করতে নিষেধ করলে তিনি গোলাম কিবরিয়াকেও গালাগাল ও হুমকি দেন। পরে তিনি একই পরিচয় দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে ফোনে গালাগাল ও হুমকি দেন।

উপাচার্যের কাছে দুই নির্বাহী প্রকৌশলী লিখিত অভিযোগে বলেন, ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজের দর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা বাজারদরের সঙ্গে সরকারি নিয়মে ভ্যাট, আইটি ও ১০ শতাংশ প্রফিট বা লাভ (পূর্বনির্ধারিত) যুক্ত করে নির্ধারণ করেন। ঠিকাদার সোহাগ ১০ শতাংশ লাভ কেন যুক্ত করে দর নির্ধারণ করা হয়েছে, তাঁকে আরও বেশি লাভ দিতে হবে বলে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াকে জানান। এ কথা বলার পর প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু কোনো কথা না শুনে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া ও শেখ আবু হায়াতকে গালাগাল ও মারধরের হুমকি দেন সোহাগ। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াত বলেন, রোববার বিকেল ৩টার কিছু আগে খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে– ‘তুই চেয়ারের পরে বসে সবাইরে ১০ লাখ ২০ লাখ টাকার কাজ দিস। আমাকে দিছিস টেন পারসেন্ট লাভে।’ এই বলে আমাকে যাচ্ছেতাই বলে গালাগাল করেন। পাঁচ মিনিট পর ফোন দিয়ে আমাকে দেখে ছাড়বেন, আমার বাড়ি আক্রমণ করবেন, ফুলবাড়িগেটে গেলে আমাকে দেখে নেবেন– এসব বলে হিুমকি দেন। 

নিজের সাংগঠনিক পরিচয় ও প্রকৌশলীকে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন মোল্লা সোহাগ। তবে কোনো ধরনের ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন। মোল্লা সোহাগ বলেন, আমার নেতার অর্ডার আছে– আমি কোনো জায়গায় কোনো টেন্ডারেও যাই না, কোনো ঠিকাদারিতেও নেই। আমার কোনো কাজ কুয়েটে চলে না। আমার ট্রেড লাইসেন্সই নেই, কাজ পরের কথা। আমি তাদের (প্রকৌশলী) ফোন দিয়েছিলাম, কথা হয়েছে, তবে কোনো হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়নি।

কোনো কাজ চলছে না, তাহলে প্রকৌশলীদের কার হয়ে ফোন দিয়েছিলেন– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আবু হায়াত ও গোলাম কিবরিয়াকে ফোন দিলে ভালোভাবে জানতে পারবেন।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ