পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে বিপিএল মাতানো তিন ক্রিকেটার
Published: 31st, January 2025 GMT
সবার শেষে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। হাইব্রিড মডেলের বৈশ্বিক এই আসরের আয়োজকও তারা।
মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বে গড়া স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলা তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন ফরচুন বরিশালের ফাহিম আশরাফ, রংপুর রাইডার্সের খুশদিল শাহ ও চিটাগং কিংসে উসমান খান।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে দল ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আগের সিরিজ থেকে চারটি পরিবর্তন আসে। তাতে ফাহিম-খুশদিল বিপিএল মাতিয়ে জায়গা করে নেন। আর এ ছাড়া দলে ডুকেন ফখর জামান-সাউদ শাকিল। বিপিএলে খেলা উসমান আগের সিরিজের দলেও ছিলেন।
বাদ পড়েন আবদুল্লাহ শফিক, ইরফান খান, সাইম আইয়ুব ও সুফিয়ান মুকিম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ১৫ সদস্যের দলটি নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজেও খেলবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ‘এ’ গ্রুপ থেকে পাকিস্তানের অন্য দুই প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ-ভারত।
পাকিস্তান স্কোয়াড
মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), সালমান আগা, বাবর আজম, ফখর জামান, কামরান গুলাম, সাউদ শাকিল, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, তাইব তাহির, আবরার আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন ও উসমান খান।
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ‘ডাকাত’ সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছনখোলা এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছে। ডাকাত সন্দেহ করে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হলে তাদের পিটুনি দেওয়া হয়। এ সময় আক্রান্তরা পাল্টা গুলি চালালে স্থানীয় চারজন এলাকাবাসী গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছনখোলা (পশ্চিম পাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, গণপিটুনিতে নিহত দুজনের মরদেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ অন্তত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত রেজা বলেন, রাত ১০টার দিকে ইওছিয়া ইউনিয়নের চানখোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রকৃত কারণ জানতে আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী আমাকে জানায় যে, ডাকাতরা যখন ডাকাতির চেষ্টা করে, তখন গ্রামবাসী মসজিদের লাউড স্পিকার ব্যবহার করে তাদের উপস্থিতি ঘোষণা করে। এ সময় ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে দুজনকে ধরে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।’
সাতানিয়া থানার ডিউটি অফিসার আমজাদ হোসেন জানান, এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে দুজন মারা গেছে। তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এ সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেটা তিনি জানাতে পারেননি। ঘটনাস্থলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যান্য অফিসার আছেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনার নেজাম নামের এক রাজনৈতিক কর্মী ৫ আগস্টের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফেরেন। ফিরেই তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি শুরু করেন। নেজাম গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। সোমবার নেজাম আরও কয়েকজনকে নিয়ে ছনখোলা এলাকায় গেলে তারাবি নামাজ পড়ে বের হওয়া মুসল্লিরা নেজাম গ্রুপকে ঘিরে ফেলে। মসজিদের মাইক থেকেও তখন ঘোষণা দেওয়া হয় এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নেজাম এলাকাবাসীর ওপর গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে পরে নেজাম ও তার সঙ্গীদের গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নেজাম ও ছালেক নামে দুজন মারা যায়।
একটি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার: পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুদীপ্ত রেজা র বরাত দিয়ে সাতকানিয়া প্রতিনিধি সুকান্ত বিকাশ ধর জানান, গণপিটুনিতে নিহত এক ব্যক্তির কাছে থাকা একটি পিস্তল এবং ৮ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পুলিশ জানাতে পারেনি।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, মো. ওবায়দুল্লাহ (২২), মো. নাসির(৩৮), মো. আব্বাস (৩৮) ও মো. মামুন সওদাগর (৪৮)। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্তু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।