জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছবি দৈনিকে বের হয়েছে; ছবির প্রদর্শনী হয়েছে; কয়েকটি অ্যালবামও বের হয়েছে। তিনটি অ্যালবাম আমরা আগ্রহের সঙ্গে দেখলাম। একটির প্রকাশক প্রথম আলো পত্রিকা, আরেকটি প্রকাশ করেছে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তৃতীয়টির প্রকাশক হিসেবে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম আছে বটে, তবে প্রকাশ করেছেন আলোকচিত্রশিল্পী মনজুর হোসেন নিজেই। তিনটিতেই দেখা যাচ্ছে তরুণদের সাহস ও দৃঢ়তা; এবং সেই সাহসের প্রতীক হচ্ছে রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ, পুলিশকে নিবৃত্ত করতে যে তাদের সামনে দু’হাত বিস্তৃত করে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে ইতিহাসের অন্তর্গত হয়ে গেছে। প্রথম আলোর সংকলনটির নাম ‘মুক্ত করো ভয়’; চারণের সংকলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হামার ব্যাটাক মারলু কেন’, যা সাঈদের মায়ের হৃদয়মথিত প্রশ্ন। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার যে তার শাসন বজায় রেখেছিল, সেটা জয় দেখিয়ে নয়, ভয় দেখিয়ে বটে। 

তবে সবকিছুরই তো শেষ আছে, এমনকি ভয় দেখানোরও। ভয় দেখানো যখন চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, ভয় তখন গেছে ভেঙে তরুণদের সাহসের সামনে। ‘মুক্ত করো ভয়’-এর শুরুতেই দেখি আবু সাঈদেরই বয়সী এক তরুণ একাকী দাঁড়িয়ে আছে সুসজ্জিত পুলিশ বাহিনীর সামনে। সে নির্ভয়, পুলিশ বাহিনীই বরং বিব্রত। অ্যালবামের ভেতরে আরেকটি ছবি, সেটি চট্টগ্রামের। পুলিশ ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে, তারপরে একটি মেয়ে একাকী দাঁড়িয়ে নির্ভীক ভঙ্গিতে সশস্ত্র পুলিশের উদ্দেশে বলছে, ‘আন্দোলন করা আমাদের অধিকার, এই অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না।’ আরেকটি ছবি একটি বুলেটের; ছবিটির বর্ণনা এই রকম: ‘জানালা দিয়ে ছুটে আসা এই বুলেট ১১ বছরের শিশু সামিরের চোখ দিয়ে ঢুকে মাথার খুলি ভেদ করে দেয়ালে লাগে। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।’
‘চারণ’-এর সংকলনে মুখোমুখি দুটো মুখচ্ছবি ছাপা হয়েছে। একটি ১৯৭১-এর, ইয়াহিয়া খানের; অপরটি ২০২৪-এর শেখ হাসিনার। একজন একাত্তরের ঘাতক, অপরজন একাত্তরের বাঙালিদের প্রধান নেতার কন্যা। একজন পাঞ্জাবি পুরুষ, অপরজন বাঙালি নারী। পাশাপাশি রাখা হয়েছে ছবি দুটি; এবং দেখা মাত্রই যা চোখে পড়ে সেটা হলো, মুখচ্ছবি দুটির সাদৃশ্য। প্রথমজন যেন ফিরে এসেছেন দ্বিতীয়জন হয়ে। 
উভয় সংকলনেই ছাত্রলীগের মহাবীরদের বীরত্বের জলজ্যান্ত ছবি ছাপা হয়েছে। লাঠি দিয়ে তারা প্রহার করছে তাদেরই বয়সী দুটি মেয়েকে, যারা মিছিলে ছিল। পুলিশ ছাত্রীদেরও লাঠিপেটা করছে, এমন দৃশ্য আগে দেখেছি কিন্তু ছাত্ররা সহপাঠী মেয়েদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, এমন ছবি আগে চোখে পড়েনি। দুটি সংকলনেই দেখতে পাচ্ছি একজন রিকশাচালককে, যিনি নিজের রিকশার ওপর দাঁড়িয়ে স্যালুট করছেন শিক্ষার্থীদের মিছিলকে। এই অভিবাদন সকল মেহনতি মানুষেরই। 

ওপরের ঘটনাগুলো উদাহরণ মাত্র। এসব মানুষ পরিসংখ্যানের অংশ হয়ে যাবে। কেউ কেউ হয়তো রয়ে যাবে হিসাবের বাইরেই, কিন্তু প্রত্যেক মানুষই তো জীবন্ত ছিল; তাদের বাঁচার অধিকার ছিল। যে বাস্তবতা এখানে উন্মোচিত হলো, সেটা অত্যন্ত সুবিস্তৃত ও সুগভীর। সমাজ শ্রেণিতে শ্রেণিতে বিভক্ত; এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও গরিব মানুষের ওপর দিয়েই ঝড়টা সবচেয়ে বেশি জোরে বয়ে যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন, রাজনৈতিক আন্দোলনেও তেমনি তাদের ক্ষতিটাই ঘটে সর্বাধিক পরিমাণে। সেই ক্ষতির পূরণ ঘটে না। উল্টো দেখা যায় সুবিধাভোগীদেরই সুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
এবারের অভ্যুত্থানে পুলিশ বাহিনীকে হুকুম ও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল নির্বিচারে মানুষ হত্যার। দেখামাত্র গুলি করা যাবে, এমন আওয়াজও শোনা গিয়েছিল এবং সেটা যে ফাঁকা আওয়াজ ছিল, তাও নয়। শিশুহত্যা, হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, ঘরের ভেতরে গুলি চালানো– এসব ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি; এবার দেখা গেল। এই নিষ্ঠুরতার প্রতিক্রিয়া হয়েছে; পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও আহত ও নিহত হয়েছেন। তাদের ৪৪ জন নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ বের হয়েছে। এই ঘটনাও অভূতপূর্ব। বোঝা যাচ্ছে, আমরা চরম অবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। 

অভ্যুত্থানের সময় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে পুলিশের থানা ও ফাঁড়ি। অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। লুট হয়েছে অস্ত্র। প্রাণভয়ে পুলিশকে পালাতে হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পুলিশ বাহিনীর ক্ষতিই হয়েছে সর্বাধিক। পুলিশের নতুন প্রধান তাঁর বাহিনীর কোনো কোনো সদস্যের অত্যুৎসাহের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। র‍্যাবের নতুন প্রধান তো গোটা বাহিনীর পক্ষেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষমাপ্রার্থী। একদা র‍্যাব গঠন করেছিল যে বিএনপি, তারাই এখন ওই বাহিনীর বিলুপ্তি চাইছে। কিন্তু এসব পরিবর্তন জনদুর্ভোগ মোটেই কমাবে না, যদি না রাষ্ট্রের পুঁজিবাদী-আমলাতান্ত্রিক চরিত্রে পরিবর্তন ঘটে। পোশাক বদল হতে পারে, এমনকি নামেও পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু জনপীড়নের জন্য সাজসরঞ্জাম এবং উৎসাহের কোনো ঘাটতি যে দেখা দেবে না, সেটা নিশ্চিত। 

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বড় ঘটনা আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া। অনেকেই আশা করেছিলেন, কমলা হ্যারিসই জিতবেন। সেটা হলো না; ট্রাম্পই জিতলেন। আসলে এটা ট্রাম্পের জয় যতটা নয়, তার চেয়ে বেশি কমলা হ্যারিসের পরাজয়। উন্মোচিত হলো এই সত্য– আধুনিক আমেরিকার অভ্যন্তরেও রক্ষণশীলতা কার্যকর শুধু নয়; বৃদ্ধিপ্রাপ্তও হয়েছে। 
কমলা বলছিলেন, তিনি লড়ছেন গণতন্ত্রের জন্য; আর ট্রাম্প বলছিলেন, তাঁর সংগ্রাম উন্নতির লক্ষ্যে। গণতন্ত্রকে উন্নতির পথে অন্তরায় হিসেবে দাঁড় করানো রক্ষণশীলদের পরীক্ষিত কৌশল। গণতন্ত্র পরে দেখা যাবে, আপাতত উন্নয়ন তো হোক– এই মনোভাব অস্বাভাবিক নয় এবং এটাকে পুষ্ট করাও সহজ। কারণ উন্নতি কে না চায়! ধনীও চায়, গরিবও চায়। ধনী চায় আরও ধনী হবে। গরিব চায় সেও গরিব থাকবে না; ধনী হবে। তাই দেখা গেছে, আমেরিকার সেরা ধনীরা তো বটেই, বেকার-অর্ধবেকার-অর্ধশিক্ষিতদের একটা বড় অংশও ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছে। ওদিকে ট্রাম্প অন্য যে আওয়াজগুলো দিয়েছেন, সেগুলো রক্ষণশীলদের তো বটেই, গরিব মানুষকেও উদ্বেলিত করেছে। তিনি বলেছেন, আমেরিকাকে আবার ‘বড়’ করা হবে এবং তিনি না জিতলে আমেরিকা টিকবে না। জিতলে তিনি অবৈধ অভিবাসীদের কী করে তাড়াতে হয়, সেটা দেখিয়ে দেবেন। এই ধরনের বর্ণবাদী ও জাতীয়তাবাদী রণধ্বনি অনেকের কানেই মধুর শোনায়; শুনিয়েছেও বৈ কি। নইলে ট্রাম্পের মতো নিকৃষ্ট নৈতিক মানের, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত এবং কোনো কোনো অভিযোগ সঠিক বলে প্রমাণিত, ব্যক্তি কী করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদটিতে চার বছর ধরে রাজত্ব করবার জন্য নির্বাচিত হন? গত শতাব্দীর শেষ দিকেও তাঁর মতো দুষ্ট চরিত্রের কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া তো দূরের কথা, দলীয় মনোনয়নপ্রার্থী হতেও সাহসী হতেন না। তাঁর মাপের একজন মানুষ আজ যে নির্বাচনে জিতে এলেন, তা যে কেবল রক্ষণশীলতার জয়, তা-ই নয়; এটি হলো ফ্যাসিবাদের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও এক ধাপ অগ্রগমন। সমাজতন্ত্রী বার্নি স্যান্ডার্স আগের দুই নির্বাচনে তবুও দলীয় হিসেবে মনোনয়নের জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন, এবার তিনি এমনকি সেটাও হননি। উন্নতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে কোনো অসুবিধা নেই।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার চিত্রকর সত্তার মৃত্যু ঘটিয়েছি’

৭২ বছর বয়সী তুর্কি লেখক বলেছেন তাঁর বাবার শৈল্পিক পৃষ্ঠপোষকতা, মধ্যপ্রাচ্যে একজন নারীবাদী হওয়া, ইস্তাম্বুলের প্রতি তাঁর ভালোবাসা আর সরকারি দমনপীড়নভীতি ইত্যাদি বিবিধ প্রসঙ্গে। কথা বলেছেন হ্যানা নিউটন। অনুবাদ: আহসানুল করিম

আমি বেড়ে উঠেছি
একটি মধ্যবিত্ত বুর্জোয়া সেক্যুলার পরিবারে। বাবার বড় একটি লাইব্রেরি ছিল। তিনি শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং প্রায়ই জঁ-পল সার্ত্রের কথা বলতেন। অন্যদিকে যখন আমার বন্ধুদের বাড়িতে যেতাম, দেখতাম তাদের বাড়িতে তেমন বেশি বইপত্র নেই। তাদের বাবারা চাইতেন তারা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা (পাশা), ধনী রাজনীতিবিদ, এমনকি ধর্মের পথে বীর হয়ে উঠুক। তারা কেউ কোনোদিন বলেনি: “একজন কল্পনাশক্তিসম্পন্ন লেখক কিংবা শিল্পী হও।” আমার বাবা ছিলেন ব্যতিক্রম।
আমার বাবা ছিলেন একজন স্বাপ্নিক মানুষ
যিনি কবি হতে চেয়েছিলেন। আমার মা ছিলেন বাস্তববাদী। তিনি বলতেন, “সোনা, যদি সত্যিই তুমি একজন ঔপন্যাসিক হতে চাও, তাহলে টাকাপয়সার মুখ দেখবে না। তারচেয়ে বরং একজন স্থপতি হও।”
২২ বছর বয়সে
আমি মাকে বলেছিলাম, “আমি চিত্রশিল্পী হব না। একজন লেখক হব।” এরপর আমি আমার ভেতরের চিত্রশিল্পীকে মেরে ফেললাম। আমি মনে করি, শেষমেশ একজন চিত্রধর্মী ঔপন্যাসিক হয়ে উঠেছি। যখন আঁকি, ঠিক স্নানঘরে গান গাওয়া একজন মানুষের মতো হয়ে উঠি। কে শুনছে মোটেই ভাবি না, কারণ কেউ আমার বাজে কণ্ঠটা শুনছে না। আমি সেখানে সুখী। কিন্তু যখন উপন্যাস লিখি, তখন আমার সঙ্গী কেবল নীরবতা। আমি যেন দাবাড়ুর মতো, শব্দগুলো তুলছি, মাথা চুলকাচ্ছি। তখন আমি অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত এবং মস্তিষ্কনির্ভর হয়ে উঠি।
আমার শিক্ষার্থীদের যদি বলি
“একটি সাদা কাগজ নাও আর লেখো,” তারা আতঙ্কিত হয়ে উঠবে। যদি বলি, “তোমার সবচেয়ে অপছন্দের জিনিস কী? আজ সকালে কী খেয়েছিলে?” এসব নিয়ে তখন তারা কল্পনা করতে পারবে। সেই জিনিসগুলোর ওপর মনোযোগ দাও যা তুমি জানো, তারপর তোমার কল্পনার লাগাম ছেড়ে দাও।

l৭ পৃষ্ঠার পর

আধুনিকতা বনাম ঐতিহ্য
এটা শুধু তুর্কি সমাজের সমস্যা নয়, বরং সারা বিশ্বের মানবতার একটি সমস্যা। তবে এটা বেশি দৃশ্যমান সেইসব দেশে; যেগুলোকে তৃতীয় বিশ্ব বা উত্তর-ঔপনিবেশিক দেশ বলা হয়ে থাকে। কারণ, সেখানে এই দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট। মূলত প্রত্যেকেই আধুনিকতা চায়, কিন্তু একই সাথে স্থানীয় সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে চায়, যা আসলে অসম্ভব। আধুনিকতা অনেক ক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করে ফেলে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে ভালোবাসি।
ইস্তাম্বুল আমার স্মৃতির সূচক
আমি আমার পুরো জীবন এখানেই কাটিয়েছি। এই শহরের সাথে আমার একটি শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। কোনো ফোয়ারা বা সেতু পেরিয়ে যাওয়ার সময় আমি সেই সময়ের ঘটনাগুলো স্মরণ করি– ঈর্ষা, ব্যর্থতা, প্রেমে পড়ার মুহূর্ত অথবা প্রথম বই প্রকাশিত হওয়া আর বইয়ের দোকানের জানালায় সেই বই দেখতে পাওয়ার স্মৃতি। এই শহর শেষমেশ একটি যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়; যা স্মৃতিগুলো উস্কে দ্যায় আর তাদের বাঁচিয়ে রাখে।
অনেক কিছুই ভয় পাই
আমার বিরুদ্ধে প্রচারণা, শারীরিক হামলা, সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমার বই নিষিদ্ধ হওয়া। সারা জীবন আমি দমন আর বিপদের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলেছি। আমার সামান্য খ্যাতি আছে, তাই এমন কিছু কথা বলতে পারি, যা অন্যরা বলতে পারে না। এটি একটি বিশেষ সুবিধা।
সাহিত্য শুধু
দমননিপীড়ন লিপিবদ্ধ করার জন্য নয়, বরং এই নিপীড়নের তলদেশে যে মানবতা রয়েছে, তা আবিষ্কার করার জন্যও।
মানব চরিত্র কী?
শেষ পর্যন্ত এটাই সব সাহিত্যের মূল বিষয়।
আমি রান্না করতে ভালোবাসি
একজন নারী অধিকার সমর্থক বা একজন নারীবাদী হতে হলে– যতটা নারীবাদী মধ্যপ্রাচ্যে একজন পুরুষ হতে পারে– আপনাকে রান্নাঘরে কাজ করতে হবে এবং নিজের পরিবারের জন্য রান্না করতে হবে। আমার ক্ষেত্রে এর মানে হলো স্ত্রীকে বলা, “আমি কিছুদিনের জন্য রান্নার দিকটা সামলাব।”
আমার বাবা অটোমান কবিতা আবৃত্তি করতেন। তাঁর স্মৃতিশক্তি ছিল অসাধারণ। তিনি তুর্কি জাতীয় ব্রিজ দলের সদস্য ছিলেন। ব্রিজ খেলায় ভালো হওয়ার আসল উপায় হলো তীক্ষ্ণ স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি থাকা।
একজন হৃদয়বান লেখক, একজন ভালো মানুষ, যে ভালো কিছু বই লিখেছে এবং কিছু শিল্পকর্ম তৈরি করেছে ... এভাবেই আমি চাই মানুষ আমাকে মনে রাখুক। 
সূত্র: গার্ডিয়ান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নামাজ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শাহজালাল মাজারে বিক্ষোভ, ট্যুরিস্ট পুলিশ অবরুদ্ধ
  • আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে, এটা কখনো ছাড় দেই না
  • মানসিক দক্ষতা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে মেলায় আসিফ ইকবালের বই
  • শুধু নারী নয়, পুরুষরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়: প্রিয়াঙ্কা
  • বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লির মৃত্যু 
  • গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল আর নেই
  • সাইফুল-সাজ্জাদে তটস্থ চট্টগ্রামের ৫ থানার পুলিশ
  • কামরুল হাসানের কাছে শিল্প ধরা দিয়েছিল
  • ‘আমার চিত্রকর সত্তার মৃত্যু ঘটিয়েছি’