সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীতে হয়ে গেল মেঘনা ৫ কিলোমিটার সাঁতার-২০২৫’ নামে একটি সাঁতার প্রতিযোগিতা। ট্রায়াথলন ড্রিমার্স আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকে আসা ১০০ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। এ আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের সাঁতার শেখায় আগ্রহী করে তোলা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সাঁতার শুরু হয় সকাল ১১টা ২ মিনিটে সোনারগাঁ উপজেলার আনন্দবাজার ঘাট থেকে। আর ফিনিশিং পয়ন্টে ছিল ৫ কিলোমিটার দূরের কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা গ্রাম। এই দীর্ঘ পথ সফলভাবে অতিক্রম করেন ৫৪ জন সাঁতারু। । ৫ কিলোমিটার সাতাঁরে প্রথম হয়েছেন সাইফুল ইসলাম রাসেল, দ্বিতীয় হয়েছেন নাজমুল হক ও তৃতীয় হয়েছেন রাব্বী মিয়া। 

আয়োজক প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশে গড়ে প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটে একজন করে মানুষ মারা যায় পানিতে ডুবে। এর সিংহ ভাগ শিশু। এই সাঁতার প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। 

সাঁতারুদের নিরাপত্তার জন্য প্রতি ৫০০ মিটার পরপর একটি করে সেফটি নৌকা, রেসকিউ টিম, নৌ পুলিশ, ডুবুরি ও মেঘনা থানা পুলিশ। সাঁতারুদের জন্য ছিল হাইড্রেশন পয়েন্ট ও মেডিকেল টিম। 

সাতাঁর প্রতিযোগিতায় মিডিয়া পার্টনার ছিল দৈনিক আজকের পত্রিকা।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বাসচাপায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৩ জনের

সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের তিন অটোরিকশা যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার মুলীবাড়ী চেকপোস্ট এলাকায় ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

যমুনা সেতু পশ্চিমপাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম সমকালকে জানান, যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মুলিবাড়ি চেকপোস্ট এলাকায় সন্ধ্যার পর ৬ জন যাত্রী নি‌য়ে একটি অটোরিকশা মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা যান।

নিহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পুর্ব-বাঐতারা গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫), তার স্ত্রী সুমনা খাতুন (৩৮) এবং শফিকুল ইসলামের বোন লাকী খাতুন (২২)। শফিকুল ও তার স্ত্রীর মরদেহ সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। আর শফিকুলের বোন লাকীর মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন। 

ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বাসটিকে ও চালককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। শুক্রবার রাত পৌনে এগারোটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ