শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে না পারায় ৫০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি জামাইয়ের
Published: 31st, January 2025 GMT
শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে ভারতের প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় যাচ্ছিলেন জামাই। এসি-থ্রি টিয়ারের টিকিট ছিল। কিন্তু ট্রেনে উঠতেই পারেননি যুবক। কারণ, ওই কামরার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন জনককিশোর ঝাঁ ওরফে রাজন নামের ওই যুবক।
বিহারের মুজফ্ফরপুরের বাসিন্দা রাজন জানান, ১৫ দিনের মধ্যে টিকিটের দাম ফেরত চেয়ে একটি আইনি চিঠি পাঠানো হয়েছে। টাকা ফেরত না দিলে ৫০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে রেলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন তিনি। খবর আনন্দবাজার অনলাইন।
২৬ জানুয়ারি মুজফ্ফরপুর থেকে স্বতন্ত্রতা সেনানি এক্সপ্রেসে চেপে প্রয়াগরাজে যাওয়ার কথা ছিল রাজনদের। সঠিক সময়ে স্টেশনে গিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। ট্রেন স্টেশনে এলেও তার এসি-৩ টিয়ার কামরার দরজা খোলেনি। বার বার ধাক্কা দিলেও দরজা খোলেনি। শেষ পর্যন্ত তাদের স্টেশনে রেখেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেন।
রাজনের দাবি, তাদের সাহায্য করতে রেলের কোনো কর্মী এগিয়ে আসেননি। এর ফলে তিনি মহাকুম্ভে যেতে পারেননি। ১৪৪ বছর অন্তর যে সুযোগ আসে, তা থেকে তিনি এবং তার পরিবার বঞ্চিত হয়েছেন। এটা মানসিক নির্যাতনের শামিল।
রাজনের অভিযোগ, রেলের ‘গাফিলতি’র কারণেই এমনটা হয়েছে।
এরপরেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজন। তার আইনজীবী ভারতীয় রেলের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে টিকিটের দাম সুদসহ ফেরত দিতে হবে রেলকে। তা না দিলে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তার মক্কেল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ধানমন্ডিতে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান ডিএসসিসির
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় শুক্রবার মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও ধানমন্ডি সোসাইটি এ অভিযানে অংশ নেয়।
সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০ জন মশক কর্মী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বিডি ক্লিনের ৫০ জন এবং ধানমন্ডি সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকাকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে মূল রাস্তা, লেক, পার্ক, মসজিদ, ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ ছিটিয়ে নেওয়া হয়।
অভিযানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ঢাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সোসাইটিগুলো চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজউক, গণপূর্ত, বিআরটিএ, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে সরকার একটি সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে। এছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যেও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন হচ্ছে।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হবে। ধানমন্ডি থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সকল বিভাগীয় প্রধান এবং ধানমন্ডি সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।